For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

'বাংলাদেশে খাদ্যের উৎপাদন থমকে গেছে'

বাংলাদেশে খাদ্য মজুদ অন্তত ১০ লক্ষ মেট্রিক টন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সেটা সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে। গত কয়েক বছর ধরে সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করলেও গবেষকরা বলছেন, তিন বছর ধরে খ

  • By Bbc Bengali

বাংলাদেশে সরকারের খাদ্য মজুদ অন্তত ১০ লক্ষ মেট্রিক টন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সেটা কমে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে।

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে দাবি করলেও গবেষকরা বলছেন, গত তিন বছর ধরে খাদ্যের উৎপাদন থমকে আছে। ফলে ঘাটতি মেটাতে নানা দেশ থেকে সরকারকে খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে।

আবুল বাশার চৌধুরী, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই চাল এবং গম আমদানি করছেন, তিনি বলছেন, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।

"বেসরকারি খাতে পাঁচ লক্ষ টনের বেশি চাল ইতোমধ্যে চলে এসেছে। এখনো আসার পথে রয়েছে আরো অনেক চালান," বলেন তিনি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন তৈরি হয়। ২০১৬ সালে শুধু বেসরকারিভাবেই সাত লক্ষ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছিলো।

বাংলাদেশর সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দেশ এবং পর্যাপ্ত মজুদও রয়েছে খাদ্যের।

কিন্তু এবছর মজুদ তিন লাখে নেমে আসার কারণ সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগাম বন্যা একটা কারণ।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির একজন পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম অবশ্য এর জন্যে কয়েকটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, একদিকে গত তিন বছর ধরে উৎপাদন যেমন থমকে আছে, তেমনি বড় বড় বড় সরকারি কর্মসূচির আওতায় বিপুল পরিমাণে চাল বিতরণও করা হয়েছে।

"বোরো উৎপাদনের ক্ষেত্রে বন্যা, নানা ধরনের পোকা-মাকড়ের প্রকোপ এবং পরবর্তীতে সেটা আমন চাষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার কারণে আমরা ধারণা করছি আগামীতে উৎপাদন কম হবে। অর্থাৎ সামগ্রিক ভাবে উৎপাদন স্থির থাকা, এবং সরকারের চাল বিতরণ কর্মসূচিগুলোতে আলাদাভাবে খাদ্যের যোগান নিশ্চিত না করার কারণে অভ্যন্তরীণ স্টকে বড় রকমের চাপ পড়েছে," বলেন তিনি।

ভারত, ভিয়েতনাম,পাকিস্তান,থাইল্যান্ড এবং তুলনামূলক কম দাম হওয়ার কারণে মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফ এ ও বলছে, বিশ্বের স্বল্প আয়ের দেশগুলোর মধ্যে খাদ্য আমদানিতে এখন প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফ এ ও বলছে, বিশ্বের স্বল্প আয়ের দেশগুলোর মধ্যে খাদ্য আমদানিতে এখন প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
BBC
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফ এ ও বলছে, বিশ্বের স্বল্প আয়ের দেশগুলোর মধ্যে খাদ্য আমদানিতে এখন প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে গতমাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৬৭ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করছে।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বন্যা এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে। কিন্তু আগামী অর্থ বছরের মধ্যে অন্তত ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ করতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।

মি. ইসলাম বলেন, "কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের সরকারি মজুদ কিছুটা কমে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু খাদ্যের কোন সংকট ছিল না। অসাধু ব্যবসায়ীরা এবং মিল মালিকেরা কৃত্রিমভাবে চালের দাম বাড়িয়েছে। আমরা আগামী অর্থবছরের শুরুতেই ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল মজুদের ব্যবস্থা নিচ্ছি।"

গবেষকরা বলছেন, সরকারে সামাজিক কর্মসূচিতে চালের বিকল্প হিসেবে গম বা কাজের বিনিময়ে টাকা দিয়ে চালের মজুদ বাড়ানো যেতে পারে।

English summary
Food production comes to halt in Bangladesh
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X