প্রথমবার করোনা সংক্রমণ উত্তর কোরিয়ায়, মৃত ৬ জন, জারি কঠোর লকডাউন
বিশ্বে করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে দু’বছর পেরিয়ে গেলেও উত্তর কোরিয়া প্রথমবার তাদের দেশে করোনা সংক্রমণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে। উত্তর কোরিয়ায় এই মারাত্মক করোনা ভাইরাসের জেরে ইতিমধ্যেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কেসিএনএ নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, এপ্রিলের শেষের দিকে অজানা উৎস থেকে ছড়িয়ে পড়া জ্বরে কাবু হয়ে দেশজুড়ে মোট ১,৮৭,৮০০ জন মানুষ আইসোলেটে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে ৩,৫০,০০০ জনের মধ্যে, যার মধ্যে ১,৬২,২০০ জনের চিকিৎসা চলছে এখনও পর্যন্ত। কেসিএনএ রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ৬ জন মৃতের মধ্যে জ্বরের উপসর্গ দেখা গিয়েছে, তাঁদের একজন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
দেশে 'গুরুতর জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করার পর এবং শহরগুলিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লকডাউন করার আহ্বান জানানোর একদিন পরে, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন মঙ্গলবার অ্যান্টি-ভাইরাস কমান্ড সেন্টার পরিদর্শন করেন। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে দেশে কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এরপরেও দেশকে করোনা আক্রমণের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
তবে উত্তর কোরিয়া দাবি করে এসেছিল যে ২ বছরের বেশি সময় আগে মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটি তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর একটিও কোভিড কেস সনাক্ত হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকা কর্মসূচি গ্রহণ না করায় দেশটির আড়াই কোটি মানুষ বেশ ঝুঁকিতে আছেন। গত বছর বিভিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়াকে করোনা ভাইরাসের টিকা সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তারা সেসব প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
Weather update: আজও রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়া সর্বপ্রথম তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। এছাড়া বিদেশ থেকে কোন খাদ্য সামগ্রী উত্তর কোরিয়ায় ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে দেশটি খাদ্য ঘাটতিতে পড়ে এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয় সেই সময়। উত্তর কোরিয়ায় নাগরিকদের টিকাকরণ হয়নি। তাই সংক্রমণের দাপট যাতে গোটা দেশে ছড়িয়ে না পড়ে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া।