ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আগেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের ৫০ মন্ত্রী নিখোঁজ
২৮ মার্চ পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসার ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের দুটি বড় রাজনৈতিক দল। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রায় একশ'জন বিধায়ক ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে পাকিতান সংসদে৷ বিরোধী রাজনৈতিক দল দুটির এ রকম বড় পদক্ষেপের মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে ইমরানের চাপ বাড়িয়ে নিঁখোজ হয়েছে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর অন্তত ৫০ জন মন্ত্রী। সে দেশের সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে জানিয়েছে৷
পাক-সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা প্রস্তাবে আরও চাপে ফেলতেই ইমরানের দলের মন্ত্রীদেরও হাত করেছেন৷ ৫০ জনের বেশি ফেডারেল ও প্রাদেশিক মন্ত্রী নিঁখোজ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ সূত্রের খবর নিখোঁজ হওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে ২৫ জন ফেডারেল, প্রাদেশিক উপদেষ্টা এবং বিশেষ সহকারী, ৪ জন প্রতিমন্ত্রী, ৪ জন উপদেষ্টা এবং ১৯ জন বিশেষ সহকারী রয়েছেন। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবর অনেক পিটিআই মন্ত্রীদের নীরবতা এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে৷ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে মন্ত্রীরা সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ইমরান ছাড়াও অন্যান্য বিকল্পগুলি বিবেচনা করছেন।
তবে কি ইমরানের দলে কেউ-ই তাঁর সমর্থনে নেই? বিষয়টা কিন্তু সেরকম নয়। পাক প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনেও রয়েছেন একাধিক বড় মুখ৷ পাক-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, জ্বালানি মন্ত্রী হাম্মাদ আজহার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারভেজ খট্টক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ সরাসরি ইমরানকে সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা জোর গলায় ইমরান সরকারের সমর্থনে প্রচারও চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তবে এসবের পরেও এটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে যে বিপুল সংখ্যক ফেডারেল এবং প্রাদেশিক মন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা এরকম গম্ভীর সমস্যার সময়ে কেন অনুপস্থি কিংবা নিঁখোজ রয়েছেন৷
তবে এর আগেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রায় ২৪ জন বিধায়ক বিরোধী দলে যোগদান করতে চেয়েছেন। তাঁরা ইমরান সরকার পতনের জন্য চাপ তৈরি করেছেন। রাজা রিয়াজ হলেন ইমরানের দলেরই এরকম একজন বিধায়ক যিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে, 'ইমরান খান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন।' পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের আরেক বিধায়ক নুর আলম খান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে, বেশ কয়েক বছরে তাঁর একের বেশি অভিযোগের কোনও সমাধান করেনি সরকার। তিনি বলেছেন, 'আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় গ্যাস সংকটের বিষয়টি বহুবার তুলে ধরেছি কিন্তু কিছুই করা হয়নি!'