নাবালক পড়ুয়াদের সঙ্গে যৌনসঙ্গম, 'ধর্ষণের দায়ে' ধৃত দুই শিক্ষিকা
প্রথম ঘটনাটি ঘটে আরকানসাস রাজ্যে। সাইলোম স্প্রিংস ইন্টারমিডিয়েট স্কুলের শিক্ষিকা মেরি ম্যাক কর্মিক তাঁরই এক ছাত্রকে 'টার্গেট' করেন। ৩২ বছর বয়সী ওই শিক্ষিকা কিছুদিন ধরেই ১৩ বছরের পড়ুয়ার পিছনে ঘুরঘুর করছিলেন। একদিন স্কুল ছুটির পর একটি অজুহাতে তিনি ডেকে পাঠান কিশোরটিকে। নিজের বাড়িতে। খাবার খেতে দিয়ে গল্প শুরু করেন। তার পরই ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান বলে অভিযোগ। কিশোরটি যাতে কামতাড়িত হয়, সেই জন্য ওই শিক্ষিকা নিজে বিবস্ত্র হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয় যায়। অন্তত তিনবার দু'জনে যৌনসঙ্গম করে। সেই শুরু। তার পর থেকে শিক্ষিকাটি নিজের নগ্ন ছবি ছেলেটির মোবাইলে পাঠান। অশ্লীল মেসেজও পাঠানো হয়। বিভিন্ন সময় দু'জনের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এভাবে অন্তত তিনমাস চলেছিল। শেষে ওই কিশোরের মা সব কিছু জানতে পেরে মেরি ম্যাক কর্মিকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন। গ্রেফতার করা হয় শিক্ষিকাকে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ওকলাহোমা রাজ্যে। হোলিস মিডল স্কুলের শিক্ষিকা জেনিফার সেক্সটন তাঁরই এক ছাত্রকে প্রেম নিবেদন করেন। ডিভোর্সি জেনিফারের স্বভাবচরিত্র ভালো নয় বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। তাই চলতি বছরের এপ্রিলে কর্তৃপক্ষের চাপে চাকরি ছাড়েন তিনি। তার পরও ১৫ বছরের ছাত্রটিকে ছাড়েননি জেনিফার। প্রায় রোজই ওই কিশোরকে নিজের শয্যাসঙ্গী বানাতেন তিনি। এমনকী ছেলেটিকে নিয়ে গাড়িতে করে বেড়াতে যেতেন। ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে দু'জনে যৌনসঙ্গম করত। একদিন গোটা ব্যাপারটা পাড়ার লোকের চোখে পড়ে যায়। তারাই খবর দেয় পুলিশে। তার পর থেকে পুলিশ নজরদারি শুরু করে। কিছুদিন আগে মিসিসিপি বেড়াতে গিয়ে বেস্ট ওয়েস্টার্ন হোটেলে ওঠে দু'জন। সেখানে হোটেলের ঘরে যখন দু'জনই নগ্ন অবস্থায় সঙ্গমে রত, তখন পুলিশ হানা দিয়ে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে।
দুই শিক্ষিকাই দাবি করেছেন, ছাত্ররা শারীরিক মিলনে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু মার্কিন আইন অনুযায়ী, নাবালকের সম্মতির কোনও দাম নেই। সম্মতি নিয়েও যদি নাবালকের সঙ্গে কোনও মহিলা যৌনসঙ্গম করে, তা হলে সেটা ধর্ষণ বলেই বিবেচিত হবে।