১৫০টি প্রশ্নের জবাব দিতে অসফল হলে এফএটিএফ পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করবে
জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক সহায়তা করার জন্য বিশ্বব্যাপী সংস্থা মাদ্রাসাগুলির সঙ্গে নিষিদ্ধ দলগুলির যোগাযোগ নিয়ে গৃহীত পদক্ষেপের বি,য়ে আরও স্পষ্ট তথ্য চেয়ে পাঠানো হল পাকিস্তানের কাছ থেকে। এক সপ্তাহ আগেই প্যারিসের সংস্থাকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

ফাইনান্সিয়াল টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় ফেলে দিয়েছে এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এফএটিএফ–এর পক্ষ থেকে অক্টোবরেই ইসলামাবাদকে সতর্ক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তারা যদি ২৭ টি প্রশ্নে ২২ নম্বর তুলতে না পারে, তবে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান ২২টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রিপোর্ট জমা করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এফএটিএফের যুগ্ম দল পাকিস্তানকে ১৫০ প্রশ্ন পাঠিয়েছিল। জানতে চেয়েচিল বেশ কিছু বিষয়ের ব্যাখা, আপডেট ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিষিদ্ধ দলগুলির সঙ্গে মাদ্রাসার যোগাযোগ সম্পর্কে। পাকিস্তানের শীর্ষ আধিকারিক বলেন, 'আমরা এফএটিএফের থেকে ই–মেলে জবাব পেয়েছি। তারা ১৫০টি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন। ই–মেলে বলা হয়েছে যে কিছু বিষয়ে আরও তথ্য, বিশদ বিবরণ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিষিদ্ধ গোষ্ঠীদের সঙ্গে মাদ্রাসাদের যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে।’
সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদের জামাত–উদ দাওয়ার সঙ্গে ৩০০টি মাদ্রাসা ও স্কুলের যোগাযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পাঞ্জাব পুলিশ ১৬০টি মাদ্রাসা, ৩২টি স্কুল, দু’টি কলেজ, চারটি হাসপাতাল, ১৭৮টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১৫৩টি ডিসপেনসারি বাজেয়াপ্ত করে। কারণ তাদের সঙ্গে জুদের যোগাযোগ ছিল। দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে জুদ এবং আরও একটি সংস্থা প্রায় ৫৬টি মাদ্রাসা পরিচালিত করে। শনিবার জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারির মধ্যে পাক সরকারকে ১৫০টি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। আগামী ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত এফএটিএফের পরবর্তী বৈঠক হবে, যেখানে পাকিস্তানকে নিজের স্বপক্ষে জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।