'ঋণ মকুব জনমোহিনী প্রচেষ্টা, কোনও সমাধান নয়', মত আইএমএফ-এর
কৃষকদের ঋণ মকুবের বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করল আইএমএফ।
কৃষকদের ঋণ মকুবের বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করল আইএমএফ। সংগঠনের প্রধান গীতা গোপীনাথ জানালেন, ঋণ মকুব একটি জনমোহিনী প্রচেষ্টা। এতে কৃষকদের সমস্যার সমাধান হবে না। তার বদলে নগদ ট্রান্সফারের ওপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
কৃষিক্ষেত্রে চূড়ান্ত ক্ষোভ রয়েছে। এবং আমি বিশ্বাস করি কৃষি ঋণ মাফ করা পুরোপুরি সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এমনটাই বলেছেন গীতা গোপীনাথ।
তাঁর মতে, সরকারকে কৃষকদের সঙ্গে আরও একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। তাদের আরও উন্নত প্রযুক্তি ও বীজ দিতে হবে যাতে ফলন ভালো হয়।
কংগ্রেস কিছুদিন আগে তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে সরকারে আসার পরে কৃষকদের ঋণ মকুব করেছে। এবং লোকসভা নির্বাচনে জিতলে ফের ঋণ মকুব হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে। বিজেপিও গুজরাত ও অসমে একই কাজ করেছে।
রাহুল গান্ধী যেমন বলেছেন, সারা দেশের কৃষকদের ঋণ মকুব না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বস্তিতে ঘুমোতে দেবেন না।
শুধু আইএমএফ প্রধানই নন, প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজনও কৃষি ঋণ মাফ করার বিরোধিতা করেছেন। এবং নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন যাতে রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের প্রতিশ্রুতি হিসাবে কৃষিঋণ মকুবের কথা না বলতে পারে।
গীতা গোপীনাথ নিজের বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালে ভারতের বৃদ্ধি তরান্বিত হলেও কেন্দ্র সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ থাকবে কৃষি ও চাকরির বাজার চাঙ্গা করা। ভারতের বৃদ্ধি মূলত বেশির কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে পণ্যের কম দাম ও প্রয়োজনীয় আর্তিক নীতি গ্রহণ।
প্রসঙ্গত, আইএমএফ ২০১৯ সালে ভারতের বৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ হারে হবে বলে জানিয়েছে। ২০২০ সালে ৭.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হবে বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে চিনের বৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ হারে হবে বলেও জানানো হয়েছে।