ভেন্টিলেটরে সলমন রুশদি, মাথায় গভীর ক্ষত, হারাতে পারেন একটি চোখ, আতঙ্কিত তসলিমাও
ভেন্টিলেটরে সলমন রুশদি, মাথায় গভীর ক্ষত, হারাতে পারেন একটি চোখ, আতঙ্কিত তসলিমাও
হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে রয়েছেন সলমন রুশদি। তাঁর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে মনে করা হচ্ছে। এমনতী রুশদির লিভারও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতের নার্ভগুলি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিিকৎসকরা। মোটের উপর একেবারেই ভাল নেই ভারতীয় বংশোদ্ভুত বিতর্কিত লেখক। আতঙ্কিত হয়ে টুইট করেছেন ইসলামের সমালোচক লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
গতকল নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সলেমন রুশদি। সেখানে হঠাৎই ছুরি িনয়ে স্টেজে উঠে আসেন এক ব্যক্তি এবং কেউ বুঝে ওঠার আগেই সলমন রুশদির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাথারি ছুরি চালাতে থাকে সেই ব্যক্তি। রুশদির ঘাড়ে-মাথায় ছুরি মারতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন লেখক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কে বা কারা তাঁর উপরে এই হামলা চালালো তা এখনো স্পষ্ট নয়। নিউ ইয়র্ক পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেফতার করে জেরা করছে।
এদিকে গতকাল রাতেই রুশদির একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর এজেন্ট জানিয়েছেন রুশদির অবস্থা একেবারেই ভাল নেই। তাঁক একটি চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। লিভারও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। লেখককে প্রায় ১০ থেকে ১২ বার ছুরি মারা গয়েছিল। তাঁর ডান হাতের নার্ভ ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুকারজয়ী লেখকের শরীরে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিদ্বজ্জনরা। আন্তর্জাতিক মহলে এই নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, রুশদির উপর যদি হামলা হতে পারে পশ্চিমের দেশে তাহলে বিশ্বের কোনও প্রতিবাদী লেখকই নিরাপদ নন। তাঁদের উপর েযকোনো সময় প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে। বা তাঁদের হত্যা করা হতে পারে। রুশদির মতই ইসলামকে নিয়ে বিতর্কিত লেখার জন্য দেশ ছাড়া হতে হয়েছে বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে।
২৪
বছরের
এক
যুবক
রুশদির
উপর
হামলা
চালিয়েছে।
তার
নাম
হাদি
মাতার।
নিউ
ইয়র্কের
নিউ
জার্সির
বাসিন্দা
সেই
যুবক।
কে
সে
রুশদির
উপরে
হামলা
চালালো
তা
নিয়ে
জেরা
করছে
পুলিশ।
তার
সঙ্গে
অন্যকোনও
জঙ্গি
সংগঠনের
যোগাযোগ
রয়েছে
কিনা
তা
নিয়ে
জেরা
করা
হচ্ছে।
ভারতীয়
বংশোদ্ভূত
লেখক
সলমন
রুশদি।
গত
এক
দশকেরও
বেশি
সময়
ধরে
গা
ঢাকা
দিয়ে
ছিলেন
তিনি।
১৯৮৮
সালে
রুশদির
লেথা
উপন্যাস
'দ্য
স্যাটানিক
ভার্সেস'
নিয়ে
তুমুল
বিতর্ক
তৈরি
হয়েছিল।
এককথায়
মৌলবাদীদের
বিষনজরে
পড়েছিলেন
তিনি।
তাঁর
নামে
মৃত্যু
পরোয়ানা
জারি
করেন
ইরানের
তৎকালীন
নেতা
আয়াতোল্লা
রুহোল্লা
খোমেইনি।
ওই
বইয়ের
কারণেই
নব্বইয়ের
দশকেও
ইটালির
মিলানে
তাঁর
উপর
হামলা
হয়েছি।
গত
২০
বছর
ধরে
নিউ
ইয়র্কেই
রয়েছেন
তিনি।