চিনে করোনার বাড়বাড়ন্ত! বাজার ছেয়েছে নকল ভারতীয় জেনেরিক ওষুধে
চিনে করোনার বাড়বাড়ন্ত। সেই সময় চিনে ভারতীয় জেনেরিক ওষুধের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চাহিদা বেড়েছে অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধগুলির। এর মধ্যে ফাইজারের প্যাক্সলোভিড অন্যতম। তবে চিনের বাজারে যেসব ভারতীয় ওষুধ যাচ্ছে
চিনে করোনার বাড়বাড়ন্ত। সেই সময় চিনে ভারতীয় জেনেরিক ওষুধের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চাহিদা বেড়েছে অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধগুলির। এর মধ্যে ফাইজারের প্যাক্সলোভিড অন্যতম। তবে চিনের বাজারে যেসব ভারতীয় ওষুধ যাচ্ছে অনেকটাই নকল বলে জানা গিয়েছে। সেখানকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন ভারতীয় জেনেরিক নকল ওষুধে ভরে গিয়েছে কালোবাজার।
চিনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় ওষুধের চাহিদা
জনগণের
চাপে
পড়ে
চিনের
সরকার
গত
৭
ডিসেম্বর
থেকে
জিরো
কোভিড
নীতি
প্রত্যাহার
করতে
বাধ্য
হয়।
তারপর
থেকেই
চিনে
দ্রুতগতিতে
বাড়তে
থাকে
করোনা।
সেই
সময়
চিনের
ই-কমার্স
প্ল্যাটফর্মে
ভারতীয়
জেনেরিক
ওষুধের
চাহিদা
বেড়েছে।
কেননা
সেখানে
সরকারি
ক্লিনিকগুলিতে
ফাইজারের
প্যাক্সলোভিড
সরবরাহ
হচ্ছে
কম,
সেই
কারণে
তা
দেওয়া
হচ্ছে
নিয়ন্ত্রিতভাবে।
সাধারণভাবে
তা
দেওয়া
হচ্ছে
প্রবীণ
নাগরিকদের।
যে
চারটি
ভারতীয়
জেনেরিক
ওষুধ
বিক্রির
জন্য
চিনের
ইকমার্স
প্ল্যাটফর্মগুলি
তালিকাভুক্ত
করেছে,
সেগুলি
হল
প্রিমোভির,
প্যাক্সিস্তা,
মোলনুনেট
এবং
মোলনাট্রিস।
এর
মধ্যে
প্রিমোভির,
প্যাক্সিস্তা
প্যাক্সলোভিডের
জেনেরিক
সংস্করণ।
বাকি
দুটি
মলনিপিরাভিরের
জেনেরিক
সংস্করণ।
তবে
এই
ওষুধগুলি
ভারতে
ব্যবহারের
অনুমোদন
থাকলেও,
তা
চিনের
ক্ষেত্রে
এখনও
অনুমোদন
পায়নি।
ওষুধে মূল উপাদানই নেই
চিনে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রিমোভির-এ অন্যতম মূল উপাদান নিমরেলভির নেই। সেখানকার জিনোমিক্স কোম্পানি বিজিআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছে প্রিমোভির হিসেবে বাজারে বিক্রি হওয়া ১৪৩ টি নমুনার মধ্যে মাত্র একটিতে নিমট্রেলভিরের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।
কেন নকল ওষুধ
চিনের
বাজার
ছেয়েছে
নকল
অ্যান্টিভাইরাল
ওষুধে।
সেখানকার
সংবাদ
মাধ্যমে
সেই
খবর
প্রকাশিত
হয়েছে।
প্রতিবেদনে
বলা
হয়েছে,
যেখানে
ফাইজারের
প্যাক্সলোভিডের
বাক্সগুলি
কালোবাজারে
৫০
হাজার
ইউয়ানে
(৭২০০
ডলারের
মতো)
বিক্রি
হচ্ছে,
সেখানে
সাধারণ
মানুষ
সস্তার
জেনেরিক
ওষুধের
দিকে
ঝুঁকছেন।
তবে
ভারতের
তৈরি
জেনেরিক
ওষুধের
চাহিদা
যে
বেড়েছে
তা
আর
বলার
অপেক্ষা
রাখে
না।
তবে
সেখানকার
ল্যাব
বিশ্লেষণে
ইঙ্গিত
চিনের
উল্লেখযোগ্য
পরিমাণ
ভারতীয়
জেনেরিক
ওষুধ
নকল।
নকল
ওষুধে
শরীরের
ক্ষতির
তেমন
কোনও
প্রমাণ
পাওয়া
না
গেলেও,
বিশেষজ্ঞরা
উদ্বিগ্ন
কেননা,
এইসব
ওষুধ
ভাইরাসের
বিরুদ্ধে
কোনও
কাজ
না
করায়
সঠিক
চিকিৎস
শুরু
হতে
দেরি
হয়ে
যাচ্ছে।
২০১৯-এ
চিন
ওষুধ
আমদানির
ওপরে
নিষেধাজ্ঞা
শিথিল
করে।
তারপর
থেকে
সেদেশে
ক্যান্সার-সহ
অন্য
অননুমোদিত
ওষুধের
চাহিদা
বেড়েছে।
লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত
গত মাসে চিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানকার ন্যাশনাল হেলফ কমিশনের অনুমান অনুযায়ী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ছিল ২৫০ মিলিয়নের কাছাকাছি। তবে আক্রান্তদের অনেকের সংক্রমণ ছিল মৃদু। তবে চিনের শহরগুলিতে টিকা না নেওয়া বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যু মিছিলও দেখা গিয়েছে। অনেক শহরে শ্মশানে দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে।