ইরানে বিস্ফোরণ: সর্বশেষ ঘটনার কথা অস্বীকার করছেন কর্মকর্তারা
ইরানের একের পর এক রহস্যজনক বিস্ফোরণ ঘটছে। সর্বশেষ বিস্ফোরণ হয়েছে বৃহস্পতিবার। কিন্তু কর্মকর্তারা গার্মাদারেহ্ এবং কোদস্ শহরের বিস্ফোরণগুলিতে খাটো করে দেখাতে চাইছেন।
ইরানের সরকার রাজধানী তেহরানের কাছে নতুন করে বিস্ফোরণের খবর অস্বীকার করেছে।
এই ইসলামী প্রজাতন্ত্রে বেশি কিছুদিন ধরে রহস্যজনক-ভাবে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। তার মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার।
ইরানের সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা জানাচ্ছেন তেহরানের পার্শ্ববর্তী দুটি শহর গার্মাদারেহ্ এবং কোদস্-এ তারা সর্বশেষ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
কিন্তু এসব বিস্ফোরণ শহর দুটি কোন্ জায়গায় ঘটেছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোন ছবি পাওয়া যাচ্ছে না।
ইরানে সর্ব-সম্প্রতি বিস্ফোরণগুলিতে পরমাণু কেন্দ্র এবং তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চলতি মাসেই ইরানের আণবিক শক্তি দফতর স্বীকার করেছে যে নাতাঞ্জের পরমাণু কেন্দ্রে আগুন ধরে গিয়েছিল।
সম্পর্কিত খবর:
ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে আগুন, 'ব্যাপক' ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় 'রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা?
ইরান-মার্কিন সংঘর্ষের নতুন ঝুঁকি, বিপজ্জনক বাকযুদ্ধ
এই ঘটনায় সে দেশের পরমাণু কর্মসূচি অনেকখানি পিছিয়ে গেছে বলে বলা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের বিষয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় আইআরআইবি বার্তা সংস্থা বলছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এনিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে থাকে।
সরকার-নিয়ন্ত্রিত প্রেস টিভি বলছে, মানুষ তিন থেকে চারটি মর্টারের গোলার আওয়াজ শুনতে পান।
গার্মাদারেহ'র কিছু সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীও শহরে বিস্ফোরণ সম্পর্কে পোস্ট দিতে থাকেন।
কিন্তু তারা যেসব ছবি ব্যবহার করেন সেগুলো পুরনো বলে বিবিসি নিউজের বিশ্লেষণে জানা যাচ্ছে।
কোদস্-এর গভর্নর লেইলা ভাসেগি সরকারি বার্তা সংস্থা ইরানকে জানিয়েছে, ঐ শহরে স্বল্পস্থায়ী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেটা ছিল একটা হাসপাতালে।
কোদস্-এর একজন এমপি বলছেন, স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের রুটিন কাজের সময় এই বিভ্রাট ঘটেছে।
অন্যদিকে, গার্মাদারেহ্'র মেয়র জানাচ্ছেন, তার শহরে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি বলছে, নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণের কারণ খুঁজে বের করা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ করা হবে না।
কিছু ইরানী কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এসব হামলার পেছনে ইসরায়েল রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করেন।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ইরানে আমাদের তৎপরতা সম্পর্কে মুখ না খোলাই ভাল।"