বেশিরভাগ করোনা ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহারে বাড়ছে বিপদ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বেশিরভাগ করোনা ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহারে বাড়ছে বিপদ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বা করোনার লক্ষণ জানার জন্য প্রযুক্তির হাত ধরে ইতিমধ্যেই বাজারে এসে গেছে একাধিক অত্যাধুনিক অ্যাপ। এই সমস্ত অ্যাপ স্মার্ট ফোনে ইন্সটল করলে সহজেই জেনে নিতে পারবেন করোনা গতিপ্রকৃতি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সমস্ত কোভিড-১৯ অ্যাপের হাত ধরেই বর্তমানে গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষকদের তত্ত্বাবধানেই চলে বিশ্লেষণ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয়-বংশোদ্ভূত গবেষকদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ করোনার গতিবিধি ট্রাক করার জন্য বেশিরভাগ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনেই রয়েছে গোপনীয়তা সংক্রান্ত একাধিক ঝুঁকি। এই অ্যাপ গুলির মধ্যে বেশিরভাগই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা অ্যাক্সেসের অনুমতি চায়। অন্যথায় সেখানে প্রবেশ করা যায় না।
৫০টিরও বেশি অ্যাপের উপর চলে গবেষণা
কেবলমাত্র হাতে গোনা কয়েকটি অ্যাপেই এনক্রিপশন এবং যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে বলে গবেষকেরা জানাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোরে উপলব্ধ ৫০টিরও বেশি কোভিড-১৯ অ্যাপের উপর গবেষণা চালান ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাসুদা বশির এবং তনুশ্রী শর্মা। তারপরেই সমানে আসে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মতো বিষয় গুলি।
লঙ্ঘিত হতে পারে গোপনীয়তা
গবেষকরা লক্ষ্য করেন এর মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাপই ব্যবহারকারীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন স্বাস্থ্যের অবস্থা, বাড়ির ঠিকানা, নাম, বয়স, ইমেল ঠিকানা এবং নাগরিকত্বের বিষয়ে জানতে চাইছে। গোপনীয়তার কোনও সুরক্ষা না থাকায় এই তথ্য গুলিই বেহাত হলে যে কোনও সময় বিপদে পড়তে পারেন একজন মানুষ।
৩০টি অ্যাপে রয়েছে সর্বাধিক ঝুঁকি
এছাড়াও ৫০ টি অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে ৩০টি অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশি ঝুঁকি রয়েছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা। এই অ্যাপ গুলি সরাসরি ব্যবহারকারীদের মোবাইলের কনট্যাক্স, গ্যালারি, ফাইল, ক্যামেরা ও অনুসাঙ্গিক ডেটার উপরে নিয়ন্ত্রণ চাইছে বলে জানা যাচ্ছে। যাতে যে গোপনীয়তা সংক্রান্ত যে কোনও বড় বিপদের মধ্যে পড়তে পারেন একজন ব্যবহারকারী।
বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিথি সংখ্যা ২৫ জন, নতুন নিয়ম লাগু বাংলায়