চিনা বিনিয়োগ নয়, সাহায্য বেশি ভারতের! বর্তমান সরকারকে দুষে ভারতের প্রশংসায় শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার (srilanka) আর্থিক সংকটের (economic crisis) প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারকেই দায়ী করলেন সেখানকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (prime minister) রণিল বিক্রমসিংঘে (Ranil Wickremesinghe) । সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, আর্থিক
শ্রীলঙ্কার (srilanka) আর্থিক সংকটের (economic crisis) প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারকেই দায়ী করলেন সেখানকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (prime minister) রণিল বিক্রমসিংঘে (Ranil Wickremesinghe) । সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, আর্থিক সংকটের মোকাবিলা না করা দেশকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছে বর্তমান সরকার। পাশাপাশি তিনি বরাবর পাশে থাকার জন্য ভারতের (india) প্রশংসাও করেছেন তিনি।
দায়ী রাজাপক্ষে সরকারের অযোগ্যতা
আর্থিক সংকট মোকাবিলায় দেশের সরকার সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ। অভিযোগ করলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিংঘে। তিনি বলেছেন, এই ধরনের সংকটের পরিস্থিতি তাদের সময়ে ছিল না। তিনি দাবি করেছেন, তাদের সময়ে সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে এখনকার মতো লাইন দিতে হয়নি। এছাড়াও জনগণের রাস্তার আসার কোনও কারণও ছিল না। রাজাপক্ষে সরকারের অকর্মণ্যতার জন্যই এই পরিস্থিতি বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অফিস ছাড়ার সময় বাজেট ছিল উদ্বৃত্ত
রণিল বিক্রমসিংঘে দাবি করেছেন, ২০১৯ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় দেশের অর্থনীতি সুস্থ অবস্থায় ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের অকর্মণ্যতায় জনগণকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। আর্থিক সংকটের জেরে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। আর দেশের বর্তমান অবস্থায়কে বিপর্যয় বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংকট মেটানোর জন্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই।
সময়মতো পদক্ষেপ করেনি সরকার
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, গত দুবছর ধরে সরকার সংকটের সবরকমের লক্ষণ উপেক্ষা করেছে। পাশাপাশি আইএমএফ-এর কাছে সাহায্যের আবেদন না জানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সময়মতো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তিনি আরও বলেন, সরকার আইএমএফ-এর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করলেও কোনও সাহায্য আসতে সময় লাগবে। প্রসঙ্গত শ্রীলঙ্কা সরকার আইএমএফ-এর কাছে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেছেন, ২০২০ এবং ২০২১ সালে যখন আইএমএফ-এর কাছে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল এবং দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সেকথা বলেছিল, সেই সময়ে শ্রীলঙ্কা সরকার যায়নি। এখন মানুষকেই তার মূল্য চোকাতে হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন রণিল বিক্রমসিংঘে।
ভারতের সাহায্য সব থেকে বেশি
শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের তরফে যে জ্বালানি ধার দেওয়া হচ্ছে, তাতে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। তারপরেই সংকট আরও বাড়বে। তিনি বলেছেন, ভারত শ্রীলঙ্কাকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছে। নতুন দিল্লি শ্রীলঙ্কাকে এখনও অর্থ ছাড়া বিভিন্নভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে। তবে এখন দেখতে হবে, ভারতের সমর্থনের ফল কী বেরিয়ে আসে। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশে চিনের কোনও বিনিয়োগ আসেনি।
শ্রীলঙ্কায় তীব্র আর্থিক সংকট! ভারতে আশ্রয় চেয়ে তামিলনাড়ুতে পৌঁছনোদের সংখ্যা বাড়ছে