পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি গাড়তে চেয়েছিল আমেরিকা, ভয়ঙ্কর অভিযোগ ইমরানের
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি করার মার্কিন দাবিতে রাজি হননি। সেই কারণেই তাঁকে গদি ছাড়তে হল বলে মন্তব্য করেছেন ইমরান। স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
৬৯ বছর বয়সী প্রাক্তন ক্রিকেটার কাম রাজনীতিবিদ ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। তারপর তিনি অভিযোগ করেন, একটি স্বাধীন বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিয়েছিল। একটি ভিডিও বার্তায় বিদেশি পাকিস্তানিদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে ঘাঁটি গাড়তে চেয়েছিল, যাতে আফগানিস্তানে কোনও সন্ত্রাসবাদ থাকলে এখান থেকে পাল্টা আক্রমণ পরিচালনা করা যায়। তিনি এই প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছিলেন। তাই তিনি খারিজ করে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রস্তাব।
ইমরান খান বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের ৮০ হাদার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও তাঁদের এই আত্মত্যাগের প্রশংসা করা হয়নি। অনেক মার্কিন রাজনীতিবিদ এর পরিবর্তে পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন, সন্ত্রাসবাদ কায়েমের অভিযোগ করেছেন। প্রশংসা দূরে থাক, আমাদের দোষারোপ করতে ছাড়েনি আমেরিকা। এখন তারা আবার ঘাঁটি গাড়তে চাইছে আমাদের দেশে। আমি কখনই এতে রাজি হইনি, রাজি হতামও না।
ইমরান খান ২০২১ সালের জুনে একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে কোনও ধরনের পদক্ষেপের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কোনও ঘাঁটি বা তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেবে না পাকিস্তান। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য এখানে ঘাঁটি চাইছে।
এক ভিডিও বার্তায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সরকারকে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়ার পক্ষপাতী ছিল না। তিনি বলেন, তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতি অন্যের উদ্দেশ্য অনুসরণ না করে নিজের সুবিধার জন্য করতে চেয়েছিলেন। সমস্যা সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল। চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক এবং রাশিয়া সফরও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল।
ইমরান খান আরও অভিযোগ করেন, তাঁর সরকারের পতনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল যখন তিনি আমেরিকার সামরিক ঘাঁটির দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ইমরান বলেন, গত বছরের জুলাই এবং আগস্টের মধ্যে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে কিছু একটা ঘটতে চলেছে। যদিও ওয়াশিংটন জোরালোভাবে ইমরান খানের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।