পেশোয়ারের স্কুলে তালিবানি হানার নিন্দায় সরব আল কায়েদাও
পেশোয়ার, ২২ ডিসেম্বর: পেশোয়ারের সামরিক স্কুলে শিশুদের ওপর হামলা চালিয়ে ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছে তালিবান জঙ্গিরা। তাদের অন্যতম সহযোগী আল কায়েদা-ও শেষ পর্যন্ত কড়া নিন্দা করে বিবৃতি দিল। ভবিষ্যতে অনুরূপ হামলা যেন না চালানো হয়, এই উপদেশও দিয়েছে আল কায়েদা।
আল কায়েদার দক্ষিণ এশিয়া শাখার প্রধান ওসামা মেহমুদ সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো একটি ই-মেইলে বলেছেন, "পাকিস্তানি সেনা ওয়াজিরিস্তানে যা করছে, তা নিন্দার ভাষাও আমাদের কাছে নেই। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও নৃশংসতায় তারা সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আমেরিকার দাসত্ব করার নিরিখে এরা সবার ওপরে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, অত্যাচারিত মুসলিমদের ওপরই আমরা আক্রমণ করব। আমাদের যুদ্ধ আমেরিকা ও তার তাঁবেদারদের বিরুদ্ধে। নিরীহ শিশু ও মহিলারা কখনওনই তার বলি হতে পারে না। তালিবানের সংযত হওয়া বাঞ্ছনীয়।"
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পেশোয়ারের সামরিক স্কুলে তালিবানি হানায় ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এদের অধিকাংশই শিশু। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বাচ্চাদের মাথায় ও চোখে গুলি করে জঙ্গিরা। বিশ্ব জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পাকিস্তানের কট্টর মৌলবাদীরাও এর কড়া নিন্দা করে। তাতে অবশ্য অনুতপ্ত নয় তালিবান। তারা ঘটা করে সেই ঘাতক জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে।
এদিকে, পেশোয়ারের ঘটনার জেরে ওয়াজিরিস্তানে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পাকিস্তানি ফৌজ। আকাশপথে লাগাতার বোমাবর্ষণের পাশাপাশি চলছে ট্যাঙ্ক থেকে গোলাবর্ষণ। গত তিনদিনে অন্তত ১০০ তালিবান জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে বলে দাবি করেছে সেনা। পাশাপাশি, জেলবন্দি যে জঙ্গিদের মৃত্যুদণ্ড এতদিন কার্যকর করা হচ্ছিল না, তাদের সবাইকে দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।