৪ দিন পরেও নিখোঁজ রংপুরের আইনজীবী, প্রশাসনিক মহলে উদ্বেগ
চার দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি কৌঁসুলি ও আওয়ামি লীগ নেতা রথীশচন্দ্র ভৌমিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে রংপুরের তাজহাট বাবুপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে রথীশ চন্দ্র আর বাড়ি ফেরেননি
চার দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি কৌঁসুলি ও আওয়ামি লীগ নেতা রথীশচন্দ্র ভৌমিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে রংপুরের তাজহাট বাবুপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে রথীশ চন্দ্র আর বাড়ি ফেরেননি বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ৫৮ বছর বয়সী রথীশ চন্দ্র জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম রহমত আলি হত্যা মামলার সরকারি কৌঁসুলি ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামি লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলার সাক্ষী ছিলেন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মাজারের খাদেম হত্যা মামলার রায়ের আগে ও পরে রথীশ চন্দ্রকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত নানা বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রথীশ চন্দ্রের বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ।
রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার বলেছেন, শুক্রবার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে স্নান করে বাড়ি থেকে বের হন রথীশ। একটু পরেই ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন। বাড়ির বাইরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লাল রঙের মোটর সাইকেলে উঠে তিনি চলে যান। তবে মোটর সাইকেলের চালক ব্যক্তিকে তিনি (স্নিগ্ধা) চিনতে পারেননি।
এরই মধ্যে জেলাশাসকের কার্যালয়-সহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয় জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। জেলা প্রশাসনের তরফে রথীশ চন্দ্রকে খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে।
রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তিনি রংপুর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক। বাবু সোনা নামে পরিচিত এই আইনজীবী হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও রংপুর জেলা পুজো উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি।