টুইটারকে চাপ দিতেই অ্যাপলের বিরুদ্ধে একের পর এক টুইট মাস্কের! কেন এমন চাপ?
ইলন মাস্কের হাতে টুইটারের মালিকানা যাওয়ার পর থেকেই শিরোনামে এই মাইক্রো ব্লগিং সংস্থা। প্রথমে একগুচ্ছ কর্মী ও আধিকারিকদের ছাঁটাই করে বিতর্কের মুখে পড়েন ইলন মাস্ক। আর এবার সংঘাত তৈরি হচ্ছে প্রযুক্তি সংস্থা অ্য়াপলের সঙ্গে।
ইলন মাস্কের হাতে টুইটারের মালিকানা যাওয়ার পর থেকেই শিরোনামে এই মাইক্রো ব্লগিং সংস্থা। প্রথমে একগুচ্ছ কর্মী ও আধিকারিকদের ছাঁটাই করে বিতর্কের মুখে পড়েন ইলন মাস্ক। আর এবার সংঘাত তৈরি হচ্ছে প্রযুক্তি সংস্থা অ্য়াপলের সঙ্গে। অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর পলিসি ও কর সংক্রান্ত নয়া নীতি নিয়ে এবার সরব হয়েছেন তিনি।
মাস্কের দাবি, অ্যাপল নাকি টুইটারকে নীতি বদলের জন্য চাপ দিচ্ছিল। আর এই বিষয়টা সামনে আসার পর মাস্কের অনেক অনুগামীও অ্যাপলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা।
সম্প্রতি শোনা গিয়েছে, অ্যাপল নাকি অ্যাপ স্টোর থেকে টুইটার সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদিও সেই খবরের কোনও সত্যতা সামনে আসেনি এখনও। তবে মাস্কের টুইট থেকে অনুমান করা হচ্ছে তেমন কোনও একটা বিষয় সত্যিই ঘটতে চলেছে। তবে এভাবে অ্যাপ সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে টুইটারের বিকল্প পার্লারও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
পরে পলিসি পরিবর্তন করার পর আবার সেই অ্যাপ স্টোরে ফিরিয়ে নেয় অ্যাপল। আইফোন প্রস্তুতকারী এই সংস্থার দাবি, তারা কখনই বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নয়, তবে তারা ভাল প্রোডাক্ট চায় সবসময়।
একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট নয় যে ঠিক কী কারণে টুইটারে আর কোনও বিজ্ঞাপন দিচ্ছে না অ্য়াপল। তথ্য বলছে, অক্টোবরে অ্যাপল বিজ্ঞাপনে যে টাকা খরচ করেছিল, নভেম্বরে সেই অঙ্ক অনেকটাই কমে গিয়েছিল। গত ১০ থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে অ্যাপল টুইটারে দেওয়া বিজ্ঞাপনে খরচ করেছিল ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬০০ ডলার। সেখানে ১৬ থেকে ও ২২ অক্টোবরের মধ্যে ২ লক্ষ ২০ হাজার ৮০০ ডলারের থেকেও অনেক কম খরচ করা হয়েছে। সোমবার এই বিজ্ঞাপন নিয়ে একাধিক টুইট করেন ইলন মাস্ক।
তিনি জানান, টুইটারে বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাপল। বলে রাখা প্রয়োজন, টুইটার কেনার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে ইলন মাস্ক। কখনও কর্মী ছাঁটাই তো কখনও টুইটারের একাধিক পরিবর্তনের কথা বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছেন টেসলা কর্তা। আর এই বিতর্কের মধ্যেই এবার অ্যাপলের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন তিনি।