টুইটারের ১,২০০ কর্মীর পদত্যাগ, সংস্থার টালমাটাল পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিবিদদের জরুরি তলব সদর দফতরে
টুইটারের ১,২০০ কর্মীর পদত্যাগ, সংস্থার টালমাটাল পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিবিদদের জরুরি তলব সদর দফতরে
টুইটার গ্রহণ করার পরে বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক তিন হাজারের বেশি কর্মী ও চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের বরখাস্ত করেন। এরপরেই তিনি টুইটারের কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলে সতর্ক করেন। তারপরেই টুইটারের জন্য নতুন বিপর্যয় নেমে আসেন। এক হাজারের বেশি প্রযুক্তিবিদ পদত্যাগ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে টুইটারের নতুন মালিক সংস্থার সমস্ত কর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে শনিবার সদর দফতরে সশরীরে হাজির দেওয়ার নির্দেশ দেন।
টুইটারের কর্মীদের জরুরি তলব
ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পর ইলন মাস্ক টুইটারের কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের বিষয়ে সতর্ক করেন। এরপরেই শুক্রবার প্রায় ১২০০ কর্মী পদত্যাগ করেন। ঘটনার জন্য ইলন মাস্ক যে একেবারে প্রস্তুত ছিলেন না, তা স্পষ্ট। প্রথমে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য টুইটারের সদর দফতর কয়েকদিন বন্ধ রাখার ঘোষণা করেন। ঠিক তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টুইটারের সমস্ত কর্মীদের সশরীরে সদর দফতরে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, জরুরি ভিত্তিতে টুইটারের প্রতিটি কর্মীকে শনিবার সদর দফতরে উপস্থিত থাকতে হবে। যদিও তিনি জানিয়েছেন, পারিবারিক বা শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে, তা বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিজের অবস্থান থেকে সরলেন মাস্ক
প্রথম থেকেই ইলন মাস্ক বাগ স্বাধীনতার পক্ষে সাফাই গেয়ে এসেছেন। এমনকী তিনি জানিয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু বর্তমানে নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি বাগস্বাধীনতার পক্ষে। কিন্তু তার মানে সেই স্বাধীনতা লাগাম ছাড়া নয়। ইতিমধ্যে ইলন মাস্ক বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়া বেশ কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে এনেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টটিকে ফেরাননি। এই প্রসঙ্গে ইলন মাস্ক বলেন, ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টটা আদৌ ফেরানো হবে কি না, সেই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
টুইটারের নয়া নীতি
টুইটারের নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে ইলন মাস্ক বলেন, তিনি বাগ স্বাধীনতার পক্ষে। তবে সেই স্বাধীনতা কখনই যেন সীমা ছেড়ে না যায়। তিনি জানিয়েছেন, প্ররোচনা মূলক টুইটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইলন মাস্ক জানান, প্ররোচনামূলক মন্তব্যের টুইটগুলোকে ডিবুস্ট ও ডিমনোটাইজ করা হবে। যার ফলে সেই টুইট থেকে কোনও আয় হবে না। বিশেষভাবে টুইটির সন্ধান না চালালে, টুইটি দেখা যাবে না। তবে তিনি জানান শুধুমাত্র প্ররোচনামূলক টুইটের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে টুইটার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।