করোনা যুদ্ধে প্রত্যাশার পারদ চড়লেও বন্ধ হয়ে গেল এলি-লিলি অ্যান্টিবডির ট্রায়াল, নেপথ্যে কী কারণ?
করোনা যুদ্ধে প্রত্যাশার পারদ চড়লেও বন্ধ হয়ে গেল এলি-লিলি অ্যান্টিবডির ট্রায়াল, নেপথ্যে কী কারণ?
নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছু আগেই মার্কিন প্রশাসন বন্ধ করে দিতে চলেছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি মিশ্রণ এলি লিলি অ্যান্টিবডি ড্রাগের প্রয়োগ। এমনটাই জানা গেল মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্তদের উপর এই ড্রাগের প্রয়োগের পরেও কোনোরকম শারীরিক উন্নতি দেখতে না পাওয়া যাওয়াতেই মার্কিন প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
কি এই অ্যান্টিবডি?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন শরীরে বিজাতীয় ভাইরাসের হানার ফলে রোগ প্রতিরোধী সেনা হিসেবেই সাধারণত তৈরি হয় অ্যান্টিবডি। এই অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাস কোষের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের বিনাশ করে। এদিকে করোনা নির্মূলনের উদ্দেশ্যেই বিজ্ঞানীরা এই উপায়কেই মাথায় রেখে এক বা একের অধিক অ্যান্টিবডিকে মিশিয়ে এই এলি লিলি অ্যান্টিবডি ড্রাগ তৈরির চেষ্টা করছিলেন। প্রাথমিক ভাবে গবেষণাগারে সংরক্ষিত করোনা ভাইরাস ও বিভিন্ন প্রাণীর উপর এইসকল অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করার পরই তা আস্তে আস্তে মানব ট্রায়ালের দিকে এগোয়।
সময়ের আগেই বন্ধ এলি লিলির ট্রায়াল
এলি লিলি অ্যান্টিবডি ড্রাগ পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২ সপ্তাহ আগেই নিরাপত্তাজনিত কারণে স্থগিত করা হল এই টেস্ট, এমনটাই জানিয়েছেন আধিকারিকরা। আমেরিকার এলার্জি ও সংক্রামক রোগ সংক্রান্ত জাতীয় সংস্থার অধীনে এই পরীক্ষা চলছিল বলেও খবর। সংস্থার তরফে জানান হয়েছে, "এই ড্রাগের কারণে রোগীদের কোনোরকম স্বাস্থ্যের অবনতি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না দেখা গেলেও তাদের মধ্যে উন্নতির লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। তাই বন্ধ করা হল এই অ্যান্টিবডি ড্রাগ টেস্ট।"
কোভিড গবেষণায় বড়সড় ধাক্কা
এলি লিলি অ্যান্টিবডি ড্রাগ সম্পর্কে গবেষকদের মত, এই ড্রাগ অকৃতকার্য হওয়ায় কোভিড গবেষণা আবার কিছুটা পিছিয়ে গেল। সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে পরীক্ষামূলকভাবে রি ড্রাগ দেয় রেগেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালস আইএনসি। সূত্রের খবর, এই সংস্থার তরফে হালকা ও মাঝারি করোনা আক্রান্তদের উপর এই অ্যান্টিবডি ড্রাগ প্রয়োগের মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তির হার কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই ক্ষেত্রে এল লিলিকে নিয়ে বিগত কয়েকমাস ধরেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই চড়ছিল প্রত্যাশার পারদ।
নিজস্ব পদ্ধতিতে সমীক্ষা ও গবেষণা চালাচ্ছে সংস্থাগুলি
এদিকে ট্রায়াল বন্ধ হলেও এখনই তারা হাল ছাড়ছে না বলেও জানিয়েছে রেগেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালস। নিজস্ব পদ্ধতিতে এই অ্যান্টিবডি ড্রাগ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কানাডার সংস্থা অ্যাবসেলেরার সঙ্গে গাঁটছড়াও বাঁধছে তারা। সম্প্রতি লিলি ও রেগেনেরন নামক সংস্থা দুটি মার্কিন খাদ্য ও ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তাদের কোভিড ড্রাগ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল। যদিও শেষ ধাপের পরীক্ষানিরীক্ষা শেষ না হওয়ার দরুণ নানা জটিলতায় তা আটকে যায় বলেই জানা যাচ্ছে।
কলকাতা থেকে জেলা - বাংলার দুর্গাপুজোর নানা মুহূর্তের ছবি দেখুন একনজরে
{quiz_408}