বাংলাদেশে নির্বাচনের দিন ঘোষণা! ভোট নিয়ে এখনও দ্বিধায় প্রধান বিরোধী দল
বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হবে ২৩ ডিসেম্বর। এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তরফে। নির্বাচন কমিশনের প্রধান কে এম নুরুল হুদা টেলিভিশন এবং রেডিও ভাষণে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হবে ২৩ ডিসেম্বর। এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তরফে। নির্বাচন কমিশনের প্রধান কে এম নুরুল হুদা টেলিভিশন এবং রেডিও ভাষণে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দেশের সবকটি দল এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে শাসক আওয়ামি লিগ সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও, বিএনপি-র তরফে ভোটের দিন পিছনোর দাবি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ২২ নভেম্বর মনোনয়নপত্রগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে ২৯ নভেম্বর। তিনশোটি আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে প্রায় ৪০ হাজার বুথে। প্রায় ৬ লক্ষ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হবে ভোটের জন্য। বাংলাদেশে এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অন্যতম বিরোধী দল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এরশাদের জাতীয় পার্টি নির্বাচনের দিন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিএনপি-র তরফে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরের অভিযোগ, সরকার ফের একতরফা নির্বাচন করতে চায়। কার্যনির্বাহী সরকারের অধীনে ভোটের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে তারা। অন্যদিকে, সেদেশের বেশ কিছু খ্রিস্টান সংগঠন ২৩ ডিসেম্বরে নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনের এই দিন ঘোষণায় বড়দিনের উৎসব ম্লান হয়ে যাবে।
এর আগে ২০১৪-র সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি।