মামলা চলাকালীন আদালতেই আচমকা মৃত্যু হল মিশরের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মোর্সির
মামলা চলাকালীন আচমকাই কায়রোর এক আদালতকক্ষে পড়ে গেলেন তিনি এবং শেষ নিঃশাস ত্যাগ করলেন। মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মোর্সির এহেন দুঃখজনক অন্তিম পরিণতিতে শোকস্তব্ধ বিশ্ব।
মামলা চলাকালীন আচমকাই কায়রোর এক আদালতকক্ষে পড়ে গেলেন তিনি এবং শেষ নিঃশাস ত্যাগ করলেন। মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মোর্সির এহেন দুঃখজনক অন্তিম পরিণতিতে শোকস্তব্ধ বিশ্ব।
আরব অভ্যুত্থানের পরে হোসনি মুবারকের তিন দশকের শাসনের অবসানের ঘটলে ২০১২ সালে মোর্সি ক্ষমতায় আসেন নির্বাচনে জিতে। যদিও তাঁর শাসনকাল এক বছরের বেশি চলেনি এবং মিশর ফের চলে যায় সেনার শাসনে।
নিষিদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুড-এর উচ্চপর্যায়ের নেতা মোর্সি তাঁর মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তেও খাঁচার পিছন থেকে কথা বলেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের বিষয়ে। মিশরের স্থানীয় খবরের সূত্রে, ৬৭ বছর বয়সী মোর্সির মৃত্যু হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। তাঁর মৃত্যুর পরেই অভিযোগ উঠেছে যে বন্দি থাকাকালীন তাঁর যথেষ্ট দেখভাল না করার কারণেই মোর্সির এমন নিদারুন মৃত্যু। ২০১৩ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই মোর্সি ছিলেন আইনের আশ্রয়ে।
'ইচ্ছাকৃত খুন', বলছে মোর্সির সমর্থকরা
মুসলিম ব্রাদারহুড স্বভাবতই ফুঁসে উঠেছে তাদের এই অন্তিম বড় নেতার আচমকা মৃত্যুতে। সমর্থক এবং মোর্সির পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে নানা শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও মোর্সিকে ঠিকঠাক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল না; একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেও তাঁকে বন্দি করা রাখা হয়েছিল। ব্রাদারহুডের মতে, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খুন ছাড়া আর কিছুই নয়।
মৃত্যুর ঠিক আগে মোর্সি তাঁর বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনের হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগের মামলায় বক্তব্য রাখছিলেন। মিনিট পাঁচেক কথা কথা বলেই তিনি পড়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর শরীরে কোনও সাম্প্রতিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে সরকারি কৌঁসুলি।
দেহ সমাহিত করার অনুমতি পাওয়া যায়নি
মোর্সির পুত্র আব্দুল্লাহ পরে রয়টার্সকে জানান যে তাঁর প্রয়াত পিতার দেহ কোথায় তা জানাতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ এবং তা তাঁর জন্মস্থান উত্তর মিশরের শার্কিয়া প্রদেশে সমাহিত করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি।