কেঁচোর উৎপাতে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে থমকাল পরিষেবা
কেঁচোর উৎপাতে বন্ধ হয়ে গেল বিমান চলাচল। রাসায়নিক ছড়িয়েও যখন কেঁচোবাহিনীকে তাড়ানো গেল না, তখন অপেক্ষা করতে হল কখন চড়া রোদ ওঠে। শেষে রোদের তেজে কেঁচোরা প্রস্থান করতে শুরু হল বিমান চলাচল!
এমনই অভিনব ঘটনার সাক্ষী রইল নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কেঁচোদের উৎপাতে অন্তত দু'ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ থাকে।
গত সোমবার রাতভর বৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সকালে দেখা যায় রানওয়েতে থিকথিক করছে নধর কেঁচোর দল। ব্যস! মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে যেন! এ তো আর গরু নয় যে, হ্যাই হ্যাটহ্যাট করে ভাগিয়ে দেওয়া যাবে। আসলে কেঁচো থাকলে তা খেতে পাখি আসবে। আর পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বিমান দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী। বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার ঋষিকেশ শর্মা জানান, কেঁচো তাড়াতে রাসায়নিক ছড়ানো শুরু করেন কর্মীরা। কিন্তু কোথায় কী! দিব্যি শরীর বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে রানওয়েতে ঘোরাফেরা করে তারা। শেষে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয়। স্মরণাপন্ন হতে হয় সূর্যদেবের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদও চড়া হয়। রোদের তেজে অবশেষে কেঁচোবাহিনী পিঠটান দেয়। তার পর স্বাভাবিক হয় বিমান চলাচল।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রানওয়ের ধারে অনেক ঝোপঝাড় থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। বর্ষার আগে তা পরিষ্কার করার পরিকল্পনা করা হলেও ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে কখনও কেঁচো, কখনও শিয়াল চলে আসে রানওয়েতে। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। ২০১০ সালেও একবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। তখন বিভিন্ন বিমান সংস্থার তোপের মুখে পড়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।