ইন্দোনেশিয়ার পর এবার নিউ ব্রিটেন অঞ্চল, ভোর রাতে তীব্র ভূমিকম্পে ছড়াল আতঙ্ক
বৃহস্পতিবার ভোররাতে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউ গুয়েনার নিউ ব্রিটেন অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এরমাত্রা ছিল ৭।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউ গিনি-র নিউ ব্রিটেন অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এরমাত্রা ছিল ৭। জানা গিয়েছে ভূপৃষ্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই কম্পনের উৎসস্থল।
নিউ ব্রিটেনের রাবাউল শহরের ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সেখানকার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার সময় এই তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আইএসটি অনুযায়ী এই সময়টা ছিল রাত ২টো। তীব্র ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির সতর্কতা জারি করা হলেও তা তুলে নেওয়া হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল একটি নির্জন দ্বীপ বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও রকম তথ্য পাওয়া যায়নি। পাপুয়া নিউ গিনি অথরিটি জানিয়েছে এতটাই দুর্গম অঞ্চলে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে যে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে, সুনামি-র সতর্কতা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই অথরিটি।
রাবাউল শহরের এক কনস্টেবল রয় মিশেল জানিয়েছেন, 'কম্পন অনুভূত হলেও তা খুব একটা তীব্র বলে মনে হয়নি।' তিনি আরও জানিয়েছেন যে রাবাউল শহরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের একদম কাছে থাকা গ্রামগুলির অবস্থা কেমন তা এখনও জানা যায়নি। ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে ৩০০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৩০ মিটার উচু ঢেউ-এর সতর্কতাও জারি করা হয়। পাপুয়া নিউ গিনি-র পোর্ট মোরেসবি থেকে জিওহ্যাজার্ডস ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-এর ক্রিস ম্যাকি জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
অস্ট্রেলিয়ার সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার অবশ্য জানিয়েছে তাদের উপকূল এলাকা এখন পর্যন্ত নিরাপদ। এখানে সুনামির কোনও সম্ভাবনা পরিলক্ষণ করা যায়নি। প্রশান্ত মহাসগরীয় সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারের ওসিওনোগ্রাফার ডেভিড ওয়ালাস জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পরপরই কেন্দ্রস্থলের আশপাশে সুনামির একটা আশঙ্কা থাকে। কিন্তু, বিজ্ঞানীরা এতটা তীব্র কম্পনে এখনও পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউ-এ সেভাবে কোনও অস্বাভাবিক চঞ্চলতা লক্ষ করেননি।
নিউ ব্রিটেন অঞ্চলের এই ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পর ৭ টি আফটার শক অনুভূত হয়। এরমধ্যে ২টি আফটার শকের মিলিত মাত্রা বাকি ৫টি কম্পনের মিলিত মাত্রার সমান বলে জানা গিয়েছে।
পাপুয়া নিউ গিনি বিশ্বের অন্যতম একটা গরিব দেশ। জিওলজিক্যালি অ্য়াক্টিভ প্যাসিফিক রং অফ ফায়ারের উপর পাপুয়া নিউ গিনির অবস্থান। গত ফেব্রুয়ারিতেই এখানে ভূমিকম্পে ১০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল।