ফের একবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.১
ফের একবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া! পশ্চিম জাভাতে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল 6.1। গত কয়েকদিন আগেই ৫.৪ মাত্রার শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় জাভাতে। তীব্র এহেন কম্পনে একেবার
ফের একবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া! পশ্চিম জাভাতে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল 6.1। গত কয়েকদিন আগেই ৫.৪ মাত্রার শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় জাভাতে। তীব্র এহেন কম্পনে একেবারে লন্ডভন্ড গোটা দেশ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ফের কম্পন ইন্দোনেশিয়াতে। পশ্চিম জাভার পাশাপাশি রাজধানী জার্কাতাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইপিসেন্টার ২০০ কিমি দূরেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সুনামির কোনও অ্যালার্ট দেওয়া হয়নি।
তবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর। অন্যদিকে এই কম্পনে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। তবে হঠাত ঝাঁকুনিতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে। প্রাণ বাঁচাতে রীতিমত ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় বলে খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই প্রবল কম্পনে অন্তত ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। জাভাতে এই কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এখনও চারপাশে ছড়িয়ে ধ্বংসস্তুপ। তীব্র কম্পনের কারণে একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে। রাতারাতি গৃহহীন হয়েছে বহু মানুষ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার কম্পন ইন্দোনেশিয়াতে। ! পশ্চিম জাভাতে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত,এখনও পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় সব থেকে বড় ভূমিকম্পের মাচ্রা ৯.১। যা হয়েছিল ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাস। ভূমিকম্পের সঙ্গে আছড়ে পড়েছিল ভয়ঙ্কর সুনামিও। আর এরপরেই ইন্দোনেশিয়া জুরে একেবারে মৃত্যু মিছিল তৈরি হয়ে গিয়েছিল। প্রবল কম্পন এবং জলের তোড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনাতে। আর সেই অতীত সেই দেশের মানুষের কাছে ভয়ঙ্কর। ফলে বারবার অনুভূত হলেও ২০০৪ সালের ঘটনার কথা মনে পড়ে যায় সে দেশের মানুষের।