তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল eastern Indonesia! আছড়ে পড়বে সুনামি?
ফের তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। পূর্ব ইন্দোনেশিয়াতে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্র ৭ বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রীতিমত আতঙ্
ফের তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। পূর্ব ইন্দোনেশিয়াতে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্র ৭ বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই আতঙ্কে বহু মানুষ রাস্তায় নেমে রীতিমত ছোটাছুটি শুরু করে দেয় বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনার পরেই সুনামি আছড়ে পড়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়। যদিও সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দফতর।
সমুদ্রতলের ৬০ কিলোমিটার গভীরে...
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানাচ্ছে, গভীর সমুদ্রে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল উত্তর মালুকু প্রদেশের উত্তর পূর্বে তোবেলোতে। উৎসস্থলের গভীরতা সমুদ্রতলের ৬০ কিলোমিটার গভীরে বলেও জানিয়েছে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার Meteorology, Climatology and Geophysics সংস্থা জানাচ্ছে, কম্পনের পর কোনও সুনামি অ্যালার্ট জারি করা হয়নি। যদিও হঠাত কম্পনের পর একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার উপকূল এলাকাতে সুনামি আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হলেও তা পরে তুলে নেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।
তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে
তবে তীব্র কম্পনের কারণে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, হতাহতেরও কোনও খবর সামনে আসেনি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, হঠাত করেই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। মানুষজন রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনেকেই প্রাণে বাঁচতে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। শুধু তাই নয়, কেউ আবার নিরাপদের জন্যে এপাশ-ওপাশ যান বলেও স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন একাধিক সংবাদমাধ্যমে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
একের পর এক কম্পনে বিধ্বস্ত সে দেশ
বলে রাখা প্রয়োজন, ইন্দোনেশিয়া অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। গত কয়েকদিন আগেই কয়েক দফায় একাধিকবার কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অংশ। তীব্র কম্পন অনুভূত হয় জাভাতে। ৫.৪ মাত্রার শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় সেখানে, তীব্র এহেন কম্পনে একেবারে লন্ডভন্ড গোটা দেশ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রবল কম্পনে এখনও পর্যন্ত ১৬২ জনের মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় কমপক্ষে ৩২৬ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয় বলে জানা যাচ্ছে। ভেঙে পড়ে সমস্ত বাড়ি থেকে হাসপাতাল। এমনকি সমস্ত পরিকাঠামোও ভেঙে পড়ে। মানুষকে চিকিৎসা করতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়। এই অবস্থায় নতুন করে ফের একবার ইন্দোনেশিয়াকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে ফের কম্পন অনুভূত সে দেশে।