ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পরে প্রথমবার! জয়শঙ্করের মস্কো সফরে শান্তির জন্য মধ্যস্থতা নিয়ে জল্পনা
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পরে প্রথমবার! জয়শঙ্করের মস্কো সফরে শান্তির জন্য মধ্যস্থতা নিয়ে জল্পনা
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে মধ্যস্থতা পালনকারীর ভূমিকা নিয়ে জল্পনার মধ্যে মস্কো সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিন তিনি মস্কোয় রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্ত শুরু হওয়ার পরে এস জয়শঙ্করের এটাই প্রথম রাশিয়া সফর।
দুদেশের বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা
রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভের সঙ্গে আলোচনায় দুপক্ষের আর্থিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। একদিকে যখন রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানির আমদানি বেড়েছে অন্যদিকে ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য তিনগুণ বেড়েছে। আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহণ, মুদ্রার ব্যবহার ছাড়াও ভারতের যেসব প্রকল্পে রাশিয়া সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা নিয়েও আলোচনা হবে। এছাড়াও সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, জি-২০-সহ বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়টিও আলোচনার মধ্যে থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভরভের সঙ্গে আলোচনায়, আঞ্চলিক বিষয় সমূহ উঠে আসবে। যুদ্ধ, পশ্চিমী দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা, খাদ্য-জ্বালানির সংকটের মতো বিষয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আলোচনায় উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। দুদেশের মধ্যে আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের দিনও ধার্য হতে পারে। যা ডিসেম্বরে হওয়ার সম্ভাবনা।
ভারত কি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায়
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে এই দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভারতের ঘূমিকার পালন নিয়ে জল্পনা ক্রমেই বাড়ছে। আমেরিকার একাধিক সংবাদ মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পুতিন ও জেলেনস্কি, উভয় নেতার সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টিও উঠে এসেছে। সেখানে ভারতের অবস্থান মস্কো ও কিয়েভকে আলোচনার জন্য কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ভারতের তরফে ফের একবার বলে দেওয়া হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে তাদের অবস্থান পরিষ্কার। আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
রাশিয়া ভারতের সব থেকে বড় তেল সরবরাহকারী
সর্বশেষ অক্টোবরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাশিয়া এখন ভারতের সব থেকে বড় তেল সরবরাহকারী। তারা সৌদি আরব এবং ইরাকের পিছনে ফেলে দিয়েছে। প্রতিদিন ৪৩ হাজার ব্যারেল করে তেল আমদানি করছে ভারত। গত বছরে যেখানে ভারতের তেল আমদানির ০.২ শতাংশ ছিল রাশিয়ার থেকে, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২২ শতাংশের মতো। গত কয়েকমাসে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা অতিক্রম করে ভারত ও রাশিয়ার টাকা-রুবেলের সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।
ভারতের প্রশংসায় পুতিন
রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে ভারত বারে বারে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থেকেছে। যার প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও প্রশংসা করেছেন, স্বাধীন বিদেশনীতি বেছে নেওয়ার জন্য। ভারতের জনসংখ্যাকে প্রতিভাবান বলেও উল্লেখ করেছিলেন পুতিন। পাশাপাশি তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী অনুরোধে সার সরবরাহের পরিমাণও বেশ কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন।
আগামী ২৫ বছর হিমাচলে ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি! নির্বাচনের মুখে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে বার্তা জয়রাম ঠাকুরের