পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির সাফাই দিতে আম্বানি, অভিষেককে টানলেন রাহুল গান্ধী
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনাসভায় পরিবারতন্ত্র ও স্বজনপোষণ নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ কাজে গিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনাসভায় পরিবারতন্ত্র ও স্বজনপোষণ নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। ভারতে পরিবারতন্ত্র নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা ভারতে অবশ্যই সমস্যা। তবে এভাবেই সেদেশে কাজ হয়ে আসছে। নিজের পিঠ বাঁচাতে আরও অনেকের নাম করেছেন তিনি।
রাহুল বলেছেন, পরিবারতন্ত্রের কথা বললে অভিনেতা অভিষেক বচ্চন বা শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিকেও এই তালিকায় ধরতে হবে। আমায় একা দোষ দিয়ে লাভ নেই। এভাবেই বেশিরভাগ দেশ চলছে।
ভারতের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলেরই এই সমস্যা রয়েছে। অখিলেশ যাদব এভাবে এসেছেন, করুণানিধির পুত্র এমকে স্তালিন, অনুরাগ ঠাকুর এভাবে এসেছেন। এভাবেই ভারতে প্রথা চলে আসছে।
রাহুলকে বারবার অলস রাজনীতিক বলে স্যোশাল মিডিয়ায় ও সংবাদমাধ্যমে ব্যঙ্গ করেন বিজেপি নেতারা। এপ্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ওদের এক হাজার লোক এই কাজেই বসে রয়েছে। ইন্টারনেটে বসে যা খুশি আমার নামে বলে যাচ্ছে বা লিখে যাচ্ছে। এবং এসবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি যার হাতে দেশের দায়িত্ব রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাহুল। ব্যঙ্গ করে বলেছেন, উনি আমার থেকে ভালো কথার ছলাকলা জানেন। পাশাপাশি রাহুলের অভিযোগ, বিজেপিতে সবকিছু উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। কারও মতামত শোনা হয় না। কংগ্রেসে আবার তা হয় না। নিচুতলার কর্মীদের মতামতও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
নোট বাতিল নিয়েও বিদেশে গিয়ে বিজেপি তথা মোদী সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাহুল। কারও সঙ্গে আলোচনা না করে নোট বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকী মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ও মন্ত্রিসভাকেও জানানো হয়নি বলে রাহুলের অভিযোগ। যার ফলে ভারতের জিডিপি ২ শতাংশ কমে গিয়েছে। পাশাপাশি জোর করে জিএসটি বলবৎ করার ফলে দেশের অর্থনীতি আরও ধাক্কা খাবে বলে রাহুল আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।