ধেয়ে আসছে ‘বিরাট’ ঝড়, নাসা-এলওএএ’র উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল বীভৎস সেই দৃশ্য
ধেয়ে আসছে ‘বিরাট’ ঝড়, নাসা-এলওএএ’র উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল বীভৎস সেই দৃশ্য
করোনার থাবায় গোটা বিশ্ব এখন নাজেহাল। স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছেন না বিশ্ববাসী। এর মধ্যেই আরও একটা খারাপ খবর, মহাসাগরের উপর দিয়ে ধেয়ে আসছে বিশাল আকৃতির একটা ঝড়। তবে কি আবারও মহা বিপর্যয় নেমে আসতে পারে এই ঝড়ের কারণে। সম্প্রতি নাসার উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে ঝড়ের বীভৎস রূপ।
বিরাটাকার ধূলিঝড় ধেয়ে আসছে
আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি থেকে আটলান্টিক মহাসাগরের উপর ধূলিঝড়ের বিস্তার নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার যে ধূলিঝড় ধেয়ে আসছে, তা একেবারেই স্বতন্ত্র। এই ধূলিঝড়ের চেহারা বীভৎস। সাহারা মরুভূমি থেকে এই ঝড় আটলান্টিক মহাসাগর হয়ে এই ঝড় বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত।
|
নাসার স্যাটেলাইটে বীভৎস রূপ ঝড়ের
নাসা-এনওএএর সুমি এনপিপি স্যাটেলাইটটি দেখিয়েছে যে, একটি ধূলার কম্বল যেন বিছনো রয়েছে বিরাট অংশ জুড়ে। এই ধুলোর বিস্তৃতি আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি থেকে আটলান্টিক মহাসাগর হয়ে মেক্সিকো উপসাগর জুড়ে রয়েছে। তা মধ্য আমেরিকা এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশে প্রসারিত।
৫০০০ মাইলেরও বেশি প্রসারিত ঝড়
১৮ জুন নাসার আর্থ অবজারভেটরিটি উল্লেখ করেছে, আটলান্টিক মহাসাগর জুড়ে ধুলোর আস্তরন প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার বা ১৫০০ মাইল প্রসারিত হয়েছিল। ২৪ জুনের মধ্যে তা ৫০০০ মাইলেরও বেশি প্রসারিত হয়। আফ্রিকা থেকে আসা ধূলিকণা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মতো দূরে বায়ুর গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে যদি এটি স্থল স্তরে মিশ্রিত হয়।
পরিবেশগত নানা পরিবর্তন ঘটাতে পারে এই ঝড়
এই ধুলো ঝড় এছাড়া পরিবেশগত নানা পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যেমন, অ্যামাজনের মাটি উর্বর করে এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে সৈকত তৈরি করে। আফ্রিকা থেকে আসা এই ধূলিঝড় শুষ্ক, উষ্ণ। এই ধুলোর আস্তরণ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের গঠন এবং তীব্রতাকে দমন করতে পারে।
মহাকাশের সুবাস গায়ে মাখতে চান! 'নাসা'র পারফিউম নিয়ে কিছু অজানা তথ্য