লকডাউনে বন্ধ সব পরিষেবা, আফ্রিকার গ্রামীণ মহিলারা অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থার মুখোমুখি
লকডাউনে বন্ধ সব পরিষেবা, আফ্রিকার গ্রামীণ মহিলারা অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থার মুখোমুখি
করোনা ভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্ব এখন অচল। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হল বিশ্বের বহু মহিলারাদেরই অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থা দেখা দিয়েছে। জিম্বাবুয়ের গ্রামীণ এলাকার বিশেষ করে উগান্ডার মহিলারা ফোন করে প্রশাসনকে জিজ্ঞাসা করছে কবে ফের পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা ফিরে আসবে?
অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। যার ফলে আফ্রিকায়, এশিয়া সহ অন্যান্য জায়গা থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রক ও অন্য যৌন ও প্রজনন সংক্রান্ত পণ্যগুলি পৌঁছাচ্ছে না। বাড়িতে স্বামী ও অন্যান্যদের সঙ্গে গৃহবন্দী থাকার ফলে তাঁদের অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে এবং তাঁরা বাইরের দুনিয়ায় ফের কবে ফেরত যেতে পারবেন সে বিষয়ে স্বল্প ধারণাই রয়েছে তাঁদের। মারিয়া স্টপস আন্তর্জাতিকের জিম্বাবুয়ে দেশের ডিরেক্টর আবেবে শিব্রু বলেন, ‘এরকম অনিশ্চিত সময়ে মহিলাদের নিজের জরায়ুতেও লকডাউন করে রাখা উচিত। কিন্তু গ্রামীণ এলাকায় কোনও উপায় নেই।'
আফ্রিকার গ্রামের মহিলারা পাচ্ছেন না চিকিৎসা পরিষেবা
আফ্রিকা মহাদেশের ১৮টি দেশে আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জাতীয় লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। সমস্ত অপরিহার্য কর্মী বা যাঁরা খাদ্য বা স্বাস্থ্যসেবা খুঁজছেন তাদের অবশ্যই কয়েক সপ্তাহের জন্য বাড়িতে থাকতে হবে, সম্ভবত আরও দীর্ঘ। লকডাউন চালু হওয়া প্রথম উপ-সাহারান আফ্রিকান দেশ রুয়ান্ডাতে দু'সপ্তাহের জন্য লকডাউন বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী যেখানে পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে, সেখানে যেতে মহিলারা ভয় পাচ্ছেন কারণ নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক মহিলারাই সুরক্ষা বাহিনীর হাতে মার খেয়েছেন। এরই মধ্যে, ভিড় এড়াতে এবং শ্রমিকদের এক সম্প্রদায় থেকে অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি এড়ানোর জন্য গ্রামীণ মহিলাদের কাছে কোনও চিকিৎসা বাহিনীও পৌঁছায়নি ।
লকডাউন–মহামারির কারণে বিশ্বের অধিকাংশ ক্লিনিক বন্ধ
আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা অভিভাবকত্ব সংগঠন বা পিপিএফ বৃহস্পতিবার তাদের নতুন রিপোর্টে জানিয়েছে যে গোটা বিশ্বজুড়ে পাঁচ সদস্যের ক্লিনিকের একের বেশি ক্লিনিক মহামারি ও সেই সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ৬৪টি দেশের পাঁচ হাজার মোবাইল ক্লিনিকও বন্ধ। অধিকাংশই দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের। তবে ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপেও একশোরও বেশি ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে।
লন্ডন হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি বিজয় মালিয়ার