থমকে আছে টীকাকরণ কর্মসূচি, করোনা থাবায় উঁকি দিচ্ছে নতুন বিপদ
থমকে আছে টীকাকরণ কর্মসূচি, করোনা থাবায় উঁকি দিচ্ছে নতুন বিপদ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর ফাঁকেই উঁকি দিচ্ছে আরেক বিপদ। প্রায় ১১৭ মিলিয়ন শিশুর দাঁড়িয়ে রয়েছে আরেক বিপদের মুখে। করোনা ভাইরাসের কারণে একাধিক দেশে টীকাকরণ কর্মসূচি প্রায় থমকে গিয়েছে। যার জেরে সদ্যজাতদের টীকাকরণ করানো হচ্ছে না। এতে হাম বা মিজলসের মত বড় সংক্রামক রোগের স্বীকার হতে পারে শিশুরা এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
টীকাকরণ কর্মসূিচ থমকে গিয়েছে
গোটা বিশ্ব প্রায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে জর্জরিত। পরিস্থিতি এতোটাই উদ্বেগজনক যে ইউরোপ, আমেরিকারিয় চলছে মৃত্যু মিছিল। এই পরিস্থিতিতে সকলের অগোচরেই উঁকি দিতে শুরু করেছেন নতুন একটি বিপদ। সেটা অবশ্য শিশুদের। কারণ করোনা মোকাবিলা করতে িগয়ে অধিকাংশ দেশই টীকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ রেখেছে। যার ফরে একাধিক রোগ থাবা বসাতে পারে শিশুদের উপর। বিশেষ করে হাম বা মিজলসের মত সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। এই টীকাকরণ ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ১১৭মিলিয়ন শিশু।
হাম ছড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশে
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই হাম বা মিজলসে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে শিশুরা। ইউনিসেফের তরফে জানানো হয়েছে ২৪টি দেশের শিশুরা হামে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। একমাত্র টীকাকরণ কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে আরও ১৩টি দেশ টীকাকরণ কর্মসূচি পিছিয়ে দিেয়ছে। মিজলস বা হাম অত্যন্ত সংক্রামক এবং ৫ বছরের নীচের শিশুরাই সবচেয়ে বেশি এই সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়।
হাম সংক্রমণে মৃত্যু
ইউনিসেফের পক্ষ থেকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে ২০১৮ সালে গোটা বিশ্বে ১৪০,০০০ বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ, কঙ্গো, ব্রাজিল, দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, ইউক্রেন, কাজাখস্তানের শিশুরা হাম বা মিজলসে ভীষণ ভাবে আক্রান্ত হয়েছে। শুধুমাত্র কঙ্গোতেই হাম বা মিজলসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬০০০ শিশুর।