নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! কী বলছে মার্কিন আইন?
হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মার্ফত। মার্কিন গণমাধ্যমের দাবি, এই সংক্রান্ত আইন জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই হাউজের কাউন্সেল প্যাট সিপোলোনেকে প্রশ্ন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, নিজেকে ক্ষমা করলে আইনি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার কী প্রভাব পড়তে পারে, এখন তা জানতে চাইছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।

নিজেকে ক্ষমা করবেন ট্রাম্প!
সূত্রের খবর, নিজেকে ক্ষমা করার বিষয় নিয়ে নির্বাচনের সময় থেকেই চিন্তাভাবনা করে আসছেন ট্রাম্প। এই আবহে গতকাল ক্যাপিটল হিলে যা ঘটল তার জন্যে সবাই ট্রাম্পকেই দোষারোপ করতে শুরু করেছে। এমনকী তাঁর নিজের দলের নেতারাও পাশে দাঁড়াচ্ছেন না ট্রাম্পের। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে ক্ষমা করার এই ভাবনা ফের চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করলেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট আদৌ নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন?
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আদৌ সেরকম ক্ষমতা রাখেন কি না, তা নিয়ে মতভেদ আছে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। মার্কিন বিচার বিভাগের মেমো বলছে, প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন না। তবে তিনি পদত্যাগ করে ভাইস প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারেন এবং তার কাছে ক্ষমার আবেদন করতে পারেন।

নিজের মেয়াদকে কলুষিত করেছেন ট্রাম্প
তবে ট্রাম্প যে তাঁর মেয়াদকে কলুষিত করেছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গণতন্ত্র হল নেতা নির্বাচন করার জন্য মানুষের রায়, যেখানে নির্বাচিত নেতাকে পদচ্যুত করার স্বাধীনতাও থাকে সাধারণ মানুষের হাতেই৷ তবে মার্কিন মুলুকে ট্রাম্প হয়ে উঠেছিলেন এক নির্মম নেতা, যিনি ক্ষমতায় থাকার জন্যে কট্টরপন্থাকে প্রশ্রয় দিচ্ছিলেন। যার নিদর্শন গোটা বিশ্ব দেখেছে ক্যাপিটল হিলের উপর হামলার ঘটনায়।

আমেরিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ট্রাম্পের কার্যকলাপ
ট্রাম্পের এই কার্যকলাপ সেই দেশটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার সংবিধানে সন্নিবেশিত নাগরিকদের স্বাধীনতার জন্য গর্বিত। ৪৫তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাঁর সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলের দিকে যাত্রা করার প্ররোচনা দিয়েছেন৷ এবং সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রশ্ন তোলা আমেরিকার রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের মৌলিক প্রকৃতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেন ট্রাম্প৷ যে দেশ বিদেশের মাটিতেও যুদ্ধ করে সেখানে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা স্থাপন করার দাবি করে, তাদের জন্য এটা খুবই বেদনাদায়ক।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের রেকর্ড হতাশাব্যঞ্জক
প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের রেকর্ডটি হতাশাব্যঞ্জক। ঘরোয়া রাজনীতিতে করোনা ভাইরাস সংকট তাঁর খারাপ রাষ্ট্রপতি প্রশাসন ও পুরো বিষয়টি আরও খারাপ করেছে৷ সর্বনাশা সাংবাদিক বৈঠক, সাংবাদিকদের প্রতি কোনও সহনশীলতা না দেখানো এবং সমস্ত কিছুর মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজা মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিসটিকে কলুষিত করেছে।