ভয় পেয়েছেন ট্রাম্পও? জরুরি অবস্থা জারি করেই করোনা টেস্টে সম্মত মার্কিন প্রেসিডেন্ট
তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সম্ভবত পৃথিবীর সব থেকে বেশি ক্ষমতা রয়েছএ তাঁরই হাতে। এহেন ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কি করোনা ভাইরাস হতে পারে? কয়েকদিন ধরেই এই প্রশ্নটি উঠছিল। সৌজন্য, গত কয়েকমাস ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একাধিক বিদেশ যাত্রা। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা জানতে কোনও টেস্ট করাননি।
প্রথমে করোনা টেস্ট করাননি ট্রাম্প
এই বিষয়ে কয়েকদিন আগেই হোয়াইট হাউসের তরফে সাফ জানানো হয় ট্রাম্প পুরোপুরি সুস্থ আছেন এবং তাঁর কোনো রকম করোনা টেস্ট করানো হয়নি। যদিও এর আগে তিনি দেশের একাধিক আইনজীবিদের সান্নিধ্যে আসেন যাদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের সুযোগ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। সূ্ত্রের খবর, এদের মধ্যে অনেকেই এর আগে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসেন যার ফলে তারা প্রত্যেকেই এখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে চিকিত্সকদের নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
বলসোনারোর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে চাঞ্চল্য
আর এরপর শুক্রবারদিন খবর একটি খবর প্রকাশ হয়, যাতে বদলে যায় চিত্রটা। জানা যায়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো। কয়েকদিন আগেই নাকি তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। তাতেই আরও উদ্বেগ ছড়ায় ওয়াশিংটনে। পরে যদিও বলসোনারো নিজে দাবি করেন যে তাঁর শরীরে কোরনা ভাইরাসের কোনও চিহ্ন নেই। তবে এই নিয়ে কোনও সুযোগ নিতে চাইছে না আমেরিকা।
করোনার পরীক্ষা করাতে রাজি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করাতে রাজি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানা গিয়েছে খুব শীঘ্রই তিনি করোনা ভাইরাসের টেস্ট করাবেন। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের প্রভাব ভালো মতই পড়েছে আমেরিকার উপর। সেদেশে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ৫০ জন। সারা বিশ্বে সংখ্যাটা প্রায় ৫৫০০।
জরুরি অবস্থা জারি আমেরিকায়
এদিকে
এই
পরিস্থিতিতে
আমেরিকায়
জরুরি
অবস্থা
জারি
করেছে
ট্রাম্প
প্রশাসন।
এই
বিষয়ে
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট
সাংবাদিক
সম্মেলনে
বলেন,
আগামী
৮
সপ্তাহ
আমেরিকার
জন্য
খুব
গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক
ভেবেচিন্তে
প্রতিটি
পদক্ষেপ
নিতে
হবে।
কোভিড-১৯-কে
হারানোর
জন্য
চিকিৎসক
ও
জনগণকে
অনেক
কিছু
শিখতে
হবে
বলেও
জানান
তিনি।
সেই
সঙ্গে
সকলকে
স্বাস্থ্যবিধি
মেনে
চলার
অনুরোধও
করেন।
বরাদ্দ ৫০ বিলিয়ন ডলার
পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া তিনি ৫০ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দের ঘোষণা করেন। তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য আমেরিকার বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকার ও অঞ্চলগুলি আপৎকালীন ত্রাণ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৫০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দেবে মার্কিন প্রশাসন। এ ছাড়া চিকিৎসা বিমার উপর আরপিত নিয়মও জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে শিথিল করা হয়েছে।