করোনা-ফ্লয়েড হত্যার আবহেই ফের নির্বাচনী প্রচার শুরুর ডাক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের হাতে অমানবিক অত্যাচারের শিকার হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু। যার প্রতিবাদ দেখিয়ে অ্যামেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহর বিক্ষোভে দেখিয়ে পথে নেমেছেন মানুষজন। পাশাপাশি করোনা আবহে দেশের অর্থনৈতিক চাকা থমকে যাওয়া তো রয়েছেই। পাশাপাশি চাকরি হারিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক মার্কিনী। করোনায় বিশ্বে সব থেকে জর্জরিত দেশ আমেরিকা। এরই মাঝে ফের নির্বাচনী প্রচার শুরুর ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফের নির্বাচলী ব়্যালি শুরু করতে চলেছেন ট্রাম্প
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে জানান যে আসন্ন নভেম্বরের নির্বাচনের জন্য নির্বাচলী ব়্যালি ফের শুরু করতে চলেছেন তিনি। এদিন তিনি জানান, ওক্লোহামা থেকে তিনি তাঁর প্রচার শুরু করবেন। এরপর একে একে টেক্সা, অ্যারিজোনা, ফ্লরিডা ও লর্থ ক্যারোলিনায় তিনি নির্বাচনী কনভেশনে যোগ দেবেন।

ট্রাম্পকে বাইডেনের খোঁচা
এদিকে কয়েকদিন আগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হতে চলেছেন আমেরিকার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নমিনেশন নিশ্চিত হতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বাইডেন। ট্রাম্পের নাম না করেই বলেছিলেন, 'আমেরিকা বর্তমানে এক সত্যিকারের পথপ্রদর্শক নেতার জন্য কাঁদছে। একমাত্র এটাই আমাদের দেশকে একত্রিত করতে পারবে।'

ফ্লয়েডের হত্যা
২৫ মে মিনেসোটার মিনেপলিসে একটি দোকানের বাইরে গ্রেপ্তার করা হয় ফ্লয়েডকে। তাঁকে আক্ষরিক অর্থেই দমবন্ধ করে মারেন পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন। যিনি প্রায় ন'মিনিট ধরে ফ্লয়েডের গলা নিজের হাঁটু দিয়ে চেপে রেখেছিলেন। এমনকী তখনও, যখন ফ্লয়েড বার বার বলতে থাকেন, 'আমি শ্বাস নিতে পারছি না।' পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই আফ্রিকান-অ্যামেরিকান ও কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য সুবিচার চেয়ে আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়।

করোনা আবহে ফ্লয়েড হত্যা নিয়ে উত্তাল আমেরিকা
আমেরিকায় যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, তখন সেসব উপেক্ষা করেই মিছিলে যোগ দেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার ফ্লয়েডকে শ্রদ্ধা জানাতে ও তাঁকে সমাহিত করতে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও দাসত্বের যুগ আর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময় থেকে কয়েকশ বছর ধরে চলে আসা কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের সংগ্রামের কথা স্মরণ করা হয়। এই আবহে ট্রাম্পের জন্য নির্বাচনী প্রচার যে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।
ভারত-মার্কিন সম্পর্কে চিড়? আমেরিকার কংগ্রেসের পরামর্শদাতাদের ভিসা না দেওয়া চরমে জল্পনা