হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের সমর্থনকারী বিলে স্বাক্ষর ট্রাম্পের, ক্ষুব্ধ বেজিং
হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের চলমান বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে একটি প্রস্তাবকে আইন হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনায় বেইজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে চিনের পররাষ
হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের চলমান বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে একটি প্রস্তাবকে আইন হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনায় বেইজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, চিন ও সেদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে এই আইন পাস করার কথা বললেও ট্রাম্পের এ পদক্ষেপে সম্পর্কের আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যা আছে এই আইনে
বিলটি জুনে হংকং বিক্ষোভের শুরুর দিকে আনা হয়েছিল। গত মাসে এটি হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে বিপুল পরিমাণে অনুমোদন পায়। এতে বলা হয়, হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের উপর চিন বা হংকংয়ের যেই আধিকারিকরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা। পাশাপাশি বিলে বলা হয়, হংকং যে চিনের অংশ হলেও এর একটি পৃথক আইনি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রয়েছে। বার্ষিক পর্যালোচনা মূল্যায়ন করবে চিন হংকংয়ের বেসামরিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন খর্ব করছে কি না। বিলটিতে আরও বলা হয়েছে, অহিংস বিক্ষোভের অংশীদার হওয়ায় গ্রেফতার করা হলেও আমেরিকায় হংকংয়ের বাসিন্দাদের মার্কিন ভিসা পাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।
হংকং পুলিশকে আর অস্ত্র বিক্রি করবে না আমেরিকা
এছাড়া হংকংয়ের পুলিশের কাছে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও স্টান গানের মত অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করেও আরেকটি বিলও পাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হংকং যেন তাদের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে যথেষ্ট পরিমাণ স্বায়ত্বশাসন উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হংকংয়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বলতে বোঝায়, চিনের উপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক হংকংয়ের জন্য কার্যকর হবে না।
এই আইনটি ওয়াশিংটনের চক্রান্ত, বলছে বেজিং
বেজিং এই আইনটিকে ওয়াশিংটনের চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, আইনটি ঠেকাতে দৃঢ় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার চিনের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা বেইজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। সেসময় রাষ্ট্রদূতকে তারা সতর্ক করে যে হংকং বিষয়ে প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হলে যুক্তরাষ্ট্র এর পরিণাম ভোগ করবে। হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেন মাথা না ঘামায়। পাশাপাশি হংকং সরকার বলছে, এই আইনটি মানুষের কাছে ভুল বার্তা পাঠিয়েছে। এটি পরিস্থিতি সহজ করার ক্ষেত্রে কোনও সহায়তা করেনি।