তাইওয়ানের পাশে আমেরিকা, করোনা-দ্বন্দ্বের মাঝেই চিনকে চাপে ফেলার নতুন কৌশল ট্রাম্পের!
বিশ্ব দরবারে তাইওয়ানকে আরও স্বকৃতী দিতে এবার নতুন এক আইন প্রনয়ণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জেরে তাইওয়ানের উপর চিনের প্রভাব আরও কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই কারণে বেডিং যে আমেরিকার উপর আরও চটবে তাতেও সন্দেহ নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের দেশের অঙ্গ হিসাবে দাবি করে চিন
প্রসঙ্গত, তাইওয়ান একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও চিন এটিকে নিজের দেশের অঙ্গ হিসাবে বিবেচনা করে। তবে এই দ্বীপরাষ্ট্রকে নিয়ে আমেরিকার এই নতুন আইনে স্বাক্ষর করে ট্রাম্প সেই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাইওয়ানের স্বাধীন সত্ত্বাকে স্বকৃতী দিয়েছেন তিনি।
আজ জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প
এদিকে এই পরিস্থিতিতেই আজ বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে আলোচনা করতে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার কথা ট্রাম্পের। করোনা আক্রান্তদের তালিকায় চিন, ইতালিকে ছআপিয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষে চলে গিয়েছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রেখে করোনা মোকাবিলায় সেই চিনের সঙ্গেই টেলিফোনের মাধ্যমে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
করোনা নিয়ে চিনকে আক্রমণ ট্রাম্পের
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কারণ হিসাবে চিনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার একাধিক দেশ। এর আগে চিনকে আরও সরাসরসি তোপ দেগেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প অভইযোগ করেন, চিন করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় বিরাট মূল্য চোকাতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে। এই মারণ ভাইরাসের কারণে সৃষ্টি হওয়া মহামারীর জন্য বেজিংয়ের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। চিনেরও যে তাতে লাভ হয়নি এ কথা অকপটে স্বীকার করে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চিন সম্পর্কে কী বলেছিলেন ট্রাম্প
এই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, 'কয়েকমাস আগে যদি আমরা এই বিষয়ে জানতে পারতাম তা হলে খুব ভালো হত। চিনের যে এলাকা থেকে এটার সূত্রপাত হয়েছিল সেখানেই এটা চাপা ছিল। আজকে এই মারণ ভাইরাসের জন্য বিশ্বব্যাপী যে মহামারীর সৃষ্টি হয়েছে তা চিনের তথ্য গোপন করার জন্যই হয়েছে। ওদের এই কাজের জন্যই বিরাট মূল্য চোকাতে হচ্ছে গোটা পৃথিবীকে।'