মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্প উবাচ, হোয়াইট হাউজে ফিরতে মরিয়া রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট
নির্বাচন শুরু হতেই ভোটগ্রহণ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন তিনি বলেন, 'মার্কিন নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী। আমার মনে হয় আমার এই নির্বাচনে অনেক ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।' পাশাপাশি তিনি তাঁর সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বানও দেন। তাঁর বক্তব্য, 'চার বছর আগে মার্কিন নাগরিকরা আমাকে যে চোখে দেখত, এখন সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে।'
'চিন' ইস্যুতেই বাজিমাত করতে চাইলেন ট্রাম্প
প্রচার শেষ হওয়ার আগে সোমবার ট্রাম্পকে রিপাবলিকানদের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত মিশিগান, আইওয়া, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়ায় সভা করতে দেখা যায়। সেখানে তিনি সেই চিনকে আক্রমণ করেই ভাটোরদের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যান। তিনি বলেন, 'চিন যা করেছে তা আমেরিকা কখনও ভুলবে না।'
'চিন থেকে একটি ভাইরাস এসে সব নষ্ট করে দিল'
ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমেরিকার ইতিহাসে অর্থনীতি তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। কিন্তু চিন থেকে একটি ভাইরাস এসে সব নষ্ট করে দিল। এত কিছুর পরও আমরা দুই মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচাতে পেরেছি। কিন্তু যা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। আমরা ভুলব না চিন যা করেছে। আমরা তা ভুলতে পারি না।'
চিনের প্রতি বাইডেনের নরমপন্থা
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে চিনের প্রতি নরমপন্থা নিয়ে কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, বেজিং চাইছে নির্বাচনে বাইডেন জিতুন। প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ঘুমন্ত বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি ট্রাম্প। গতকাল মোট পাঁচটি জনসভায় যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ আরও পাঁচটি জনসভায় তাঁর যোগ দেওয়ার কথা। আগামীকাল সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর দৃষ্টিভঙ্গী সম্পূর্ণ ভিন্ন
এবারের নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী কৌশল এবং দৃষ্টিভঙ্গী একেবারে আলাদা। আর্থিক নীতি হোক বা স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও বিষয় হোক বা আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয় হোক বা শক্তি সংক্রান্ত কোনও নীতি হোক বা বিদেশ নীতি, সব ক্ষেত্রেই এ বারের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর দৃষ্টিভঙ্গী ও ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সবাইকে অবাক করে বাইডেনকে পিছনে ফেললেন ট্রাম্প! মার্কিন নির্বাচনে কোন চমকের ইঙ্গিত?