ভারতে অবাধে ব্যবসা বাড়াতে চায় আমেরিকা, বাণিজ্যিক নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব মোদী সরকারকে
মোদী ক্ষমতায আসার পর থেকে আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসা যেন ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ২০০৮ সালে যেখানে আমেরিকার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও কেনেনি ভারত।
মোদী ক্ষমতায আসার পর থেকে আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসা যেন ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ২০০৮ সালে যেখানে আমেরিকার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও কেনেনি ভারত। সেই জায়গা থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমেরিকা ভারতকে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। এর কৃতীত্ব যে মোদীর তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেয়। তাঁর সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। মনে করা হচ্ছে সেখানে এই অস্ত্র কেনার বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে।
সূত্রের খবর মোদীর সঙ্গে বৈঠকে পম্পেয় মার্কিন পণ্য আমদানিতে ভারতের সীমাবদ্ধতা বাড়ানোর অনুরোধ করবেন। কারণ এখনও পর্যন্ত আমেরিকা ভারতের বেঁধে দেওয়া বাণিজ্যিক সীমার বাইরে ব্যবসা করতে পারে না। এই সীমাবদ্ধতা বাড়িয়ে দিলে দুই দেশের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দুই দেশের আর্থিক উন্নতিও হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেকারণেই মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রস্তাবিত আলোচনার মধ্যে ভারতের সঙ্গে অবাধ এবং পারস্পরিক সুসম্পর্কের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক আদান প্রধানের অনুরোধ করা হয়েছে। আমেরিকা চাইছে যেভাবে ভারতীয় একাধিক কোম্পানি আমেরিকায় অবাধে কাজ করতে পারে সেই এই সুবিধা ভারতে মার্কিন কোম্পানিগুলিকে দেওয়া হোক। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হোক।
আমেরিকা মনে করছে একাধিক মার্কিন সংস্থা ভারতের ব্যবসা করতে আগ্রহী। সে কারণেই ভারতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে একাধিক মার্কিন সংস্থা। একাধিক মার্কিন সংস্থাকে ভারতে অবাধ বাণিজ্যের ছাড় পাইয়ে দিতেই আজ আলোচনা করবেন পম্পেয়।
দ্বিপক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তি অনুয়াযী ২০১৮ সালে আমেরিকা ভারতে ব্যাবসা করেছিল ১৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালে সেটা বেেড়ছে প্রায় ১২.৬ শতাংশ। ইউপিএ-টু সরকারের আমলে সেই বাণিজ্য প্রায় শ্ূণ্য শতাংশ ছিল। মোদীর দৌলতে আমেরিকার এই বিপুল আর্থিক লাভ ধরে রাখতেই পম্পেয়র আলোচনা গতি পােব বলে মনে করছে অর্থনীতিবিদরা।
আমেরিকার এই প্রস্তাবে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন দেশের ব্যবসাযীরা। মার্কিন পণ্যে বাজার ভরে েগলে দেশিয় সামগ্রির কোনও চাহিদা থাকবে না। এমনিতেই চিনের সামগ্রির সঙ্গে পাল্লা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে দেশিয় সংস্থাগুলিকে।
আমেরিকার প্রস্তাব যদি মোদী সরকার মেনে নেয়, তাহলে ভারতের বাজার দখল করতে বেশি সময় নেবে না আমেরিকা।