অর্থকষ্টে ভুগতে থাকা পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দিল ট্রাম্প সরকার
কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যতই লাফালাফি করুক পাকিস্তান, আর্থিক কষ্টে ভুগতে থাকা ইমরান খানের দেশের পক্ষে যে ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠা সহজ হবে না, তা ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।
কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যতই লাফালাফি করুক পাকিস্তান, আর্থিক কষ্টে ভুগতে থাকা ইমরান খানের দেশের পক্ষে যে ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠা সহজ হবে না, তা ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় একমাত্র চিনকে ছাড়া আর কোনও স্থায়ী সদস্য দেশকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। সরাসরি ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও আমেরিকার মতো বড় দেশগুলি।
নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনার আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টেলিফোনে যোগাযোগ করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। সেখানে তাঁর সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। ট্রাম্প পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছিলেন কাশ্মীরের মতো বিষয় দ্বিপাক্ষিক ভাবেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে পাকিস্তানকে।
এরপরের দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে আরও এক বড় ধাক্কা দিল পাকিস্তানকে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পাকিস্তানের কাছ থেকে আরও ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য কেড়ে নিল আমেরিকা। এর ফলে সাহায্যের পরিমাণ কমে দাঁড়াল মাত্র ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগেও পাকিস্তানের সাহায্যের অর্থ ট্রাম্প সরকার কমিয়ে দিয়েছে।
যদিও এই সিদ্ধান্ত তিন সপ্তাহ আগেই হয়ে গিয়েছে বলে খবর। ইমরান খানের মার্কিন সফরের আগেই সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদকে জানিয়ে দিয়েছিল ওয়াশিংটন। পেরা বা পাকিস্তান এনহ্যান্সড পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট ২০১০ - মোতাবেক সাহায্য পাকিস্তানকে করা হতো। ২০০৯ সালে মার্কিন কংগ্রেসে এটি পাস হয়। যার ফলে পাঁচ বছরে পাকিস্তানকে ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য করার কথা ছিল আমেরিকার।
তবে পরে সেই অর্থ সাহায্যের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এখন সরকার সেটাকে আরও কমিয়ে ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনা হল। এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন সেনা ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য বাতিল করে পাকিস্তানকে। সেদেশে কাজ করা জঙ্গিগোষ্ঠীকে বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ফের একবার এবার অর্থ সাহায্য বন্ধ করে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করল ট্রাম্প সরকার।