ইরানের মিসাইল হামলার পর 'অল ইজ ওয়েল' বার্তা ট্রাম্পের! মার্কিন অসামরিক বিমান পরিষেবা নিয়ে বড় ঘোষণা
কয়েক দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, ইরানের সেনা প্রধান কাশেম সুলেমানির আগেই মৃত্যু হওয়া উচিত ছিল। যে বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে। অন্যদিকে ইরানের ইমাম খামেইনিও কোনও অংশে মার্কিন সেনাকে রেয়াত করার সপক্ষে নন। ইরান এদিন ভোর রাতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনা ক্যাম্পে ব্যাপক মিসাইল বর্ষণ করে। এরপরই টুইট বার্তায় ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন নিজের অবস্থান।
ট্রাম্পের বার্তা 'অল ইজ ওয়েল'
এদিন ভোর রাতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে ইরানের তরফে একের পর এক মিসাইল হানা হয়। প্রায় হাফ ডজন মিসাইল মার্কিন সেনাকে তাক করে হামলার পর শান্ত হয় তেহরান। আর এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ' অল ইজ ওয়েল! ইরান থেকে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে মিসাইল হানা করা হয়েছে। হতাহতের হিসাবে এখন নেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর সেনা রয়েছে। আমি একটি বক্তব্য রাখব কাল। '
ইরান -ইরাকের আকাশে নিষিদ্ধ মার্কিন যাত্রী বিমান
এদিকে, এদিন ভোররাতে ইরানের হামলার পরই মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইরান ও ইরাকের আকাশ পথে কোনও মতেই যেন কোনও মার্কিন যাত্রী (বাণিজ্যিক) বিমান না ওড়ে। প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিনীদেরও সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে।
মার্কিন-ইরান সম্পর্ক
মার্কিন ইরান সম্পর্ক যে কতটা তিক্ত সেই প্রসঙ্গ আরও একবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে উস্কে দিলেন ট্রাম্প। সামনেই মার্কিন সাধারণ নির্বাচন। তার আগে বাগদাদে গত সপ্তাহে ইরানের সেনা প্রধানকে হত্যা করে মার্কিনী ড্রোন। এরপর পাল্টা জবাবের বার্তা দেয় ইরানও। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরানের সেনা প্রধান সুলেমানির আস্ফালন বাড়তে থাকায় , চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল ট্রাম্প প্রশাসনের। তারপরই এই ঘটনা। যা ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে যেমন উত্তাপ চড়ছে, তেমনই মার্কিন সাধারণ নির্বাচনের আগে তাপ চড়ছে মার্কিন মুলুকেও।