বিদায়বেলায় ১৪৩ জনকে ‘ক্ষমা’ ট্রাম্পের! নিজেকে রাখলেন 'অপরাধী'-র তালিকাতেই
বিদায়বেলায় ১৪৩ জনকে ‘ক্ষমা’ ট্রাম্পের! নিজেকে রাখলেন 'অপরাধী'-র তালিকাতেই
বুধবার মার্কিন মসনদে বসলেন ৪৬তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। যদিও অন্যদিকে বিদায়বেলাতেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সূত্রের খবর, সেনেটে ইমপিচমেন্টে দোষী সাব্যস্ত হলে এটাই শেষ বিদায় হতে পারে ট্রাম্পের। এসবের মাঝেই প্রাক্তন উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন সহ ৭৩ জনকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করার পাশাপাশি ৭০ জনের সাজা কমিয়ে দিলেন ট্রাম্প। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সুযোগ থাকলেও নিজেকে বা নিজের পরিবারের সদস্যদের ক্ষমার তালিকায় রাখেননি তিনি।
নিজেকে ‘ক্ষমা’ করেনিন ট্রাম্প
মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, হোয়াইট হাউসের আমলাদের বুদ্ধিতেই নিজেকে ক্ষমা করার পথে হাঁটেননি ট্রাম্প। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন যে ক্ষমা করার তালিকায় নিজেকে বা পরিবারের সদস্যদের রাখার অর্থ আদপে নিজেদেরই 'দোষী' প্রমাণ করা। মার্কিন আধিকারিকরা জানান, ২০১৬ সালে 'আমেরিকা ফার্স্ট' স্লোগানের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচারে যোগ দেন ব্যানন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্টিভের অনুপ্রেরণাতে অভিবাসন নীতি কড়া করার পথে এগোন ট্রাম্প। পাশাপাশি আমেরিকা-মেক্সিকো সীমানায় প্রাচীর তোলার ঘটনায় ব্যাননের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয় বলেও খবর।
কাদের কাদের ক্ষমা করলেন ট্রাম্প ?
মার্কিন নীতি অনুযায়ী, হোয়াইট হাউস থেকে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি চাইলে ক্ষমতাবলে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে থাকা সকল ফৌজদারি সাজা বাতিল করার পাশাপাশি কারাদণ্ড কমিয়ে দেওয়ারও ক্ষমতা রাখেন। মার্কিন আইনি উপদেষ্টাদের মতে, ফেডারেল মামলার ক্ষেত্রে ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, সম্প্রতি বেশ কয়েকজনকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা পল ম্যানাফোর্ট, দীর্ঘদিনের সহযোগী রজার স্টোন ছাড়াও জামাতা জ্যারেড কুশনারের পিতা চার্লসকে ক্ষমা করেন ট্রাম্প।
বেশ দীর্ঘ ট্রাম্পের ক্ষমার তালিকা
জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানের মাত্র ক'ঘন্টা আগে ট্রাম্পের ক্ষমা করার ঘটনায় চকিত গোটা বিশ্ব। জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে পাঁচিল গড়ার তহবিল সংগ্রহে প্রতারণার কারণে ২০২০-এর আগস্টে ব্যাননের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। পাশাপাশি অস্ত্র সংক্রান্ত ফেডারেল আইনে সাজাপ্রাপ্ত লিল ওয়েইন ওরফে ওয়েইন কার্টার এবং কোডাক ব্ল্যাকের সাজামকুব করেন ট্রাম্প। অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির তহবিল সংগ্রহকারী এলিয়ট ব্রোডিও আর্থিক দুর্নীতির দায়ভার থেকে মুক্তি পান।
তালিকা দেখো চমকাচ্ছে গোটা বিশ্ব
সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, ঘুষ ও হুমকি দেওয়ার মত অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ডেট্রয়েটের প্রাক্তন মেয়র মি. কিলপ্যাট্রিক মুক্তি পেয়েছেন ২৮ বছরের কারাদণ্ড থেকে। পাশাপাশি গুগলের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি সংক্রান্ত প্রকল্পের তথ্য চুরি করার অপরাধে ১৮ মাসের সাজা পান প্রযুক্তিবিদ মি. লেভানডোস্কি। তিনিও ১৮ মাসের সাজা থেকে পূর্ণ মুক্তি পেয়েছেন। তালিকায় পরবর্তী নাম রিক রেনজির। ২০১৩ সালে চাঁদাবাজি, ঘুষ গ্রহণ, বীমা জালিয়াতি, অর্থ পাচারের অভিযোগে পরবর্তীতে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই বছরের নজরদারি হয় তাঁর। ট্রাম্পের দাক্ষিণ্যে সাজা থেকে মুক্তি পান তিনি।
টিকা ভয় কাটাতে বিশেষ নির্দেশিকা রাজ্যগুলিকে! ৫ দিন শেষে কোথায় দাঁড়িয়ে প্রথম দফার টিকাকরণ?