সবাইকে অবাক করে বাইডেনকে পিছনে ফেললেন ট্রাম্প! মার্কিন নির্বাচনে কোন চমকের ইঙ্গিত?
নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, তার আগেই জো বাইডেনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচন শুরু হতেই ইন্টারনেট সার্চের নিরিখে বাইডেনকে পিছনে ফেলে বহু দূর এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও শেষ সমীক্ষা অনুযায়ী এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেন।
৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে চিরসঙ্গী ছিল বিতর্ক, একনজরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি
সমীক্ষায় এগিয়ে বাইডেন
সব বড় বড় সংবাদমাধ্যম ভোটের নিরিখে গড়ে ৮ পয়েন্ট বা ৮ শতাংশ এগিয়ে রেখেছে জো বাইডেনকে। তবে বিতর্কে জড়িয়ে থাকা ট্রাম্পের প্রতি মানুষের কৌতূহল কমেনি একবিন্দুও। তবে গুগল সার্চের নিরিখে ময়দান কাঁপাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকায় ইন্টারনেট ব্যবাহারকারী ৪৫ শতাংশ ট্রাম্পকে নিয়ে সার্চ করেছেন, যেখানে বাইডেনকে নিয়ে সার্চ করেছেন মাত্র ২৩ শতাংশ মানুষ।
কোথায় এগিয়ে ট্রাম্প
নেব্রাস্কা, ভারমন্ট, অ্যারিজোনা, ওয়াশিংটন, টেক্সাস, ডেলাওয়্যার, ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া, ওহায়ো, আর্কানসাস এবং অরেগন অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন গুগল সার্চের নিরিখে। সমীক্ষার নিরিখে বাইডেন এগিয়ে থাকলেও মানুষের মনে ট্রাম্পের প্রতি এই কৌতূহল শেষ মুহূর্তে সব ওলট পালট করে দিতে পারে বলে মত অনেক বিশেষজ্ঞরই।
ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার প্রমাণ নয় গুগল সার্চ
তবে এই সার্চ যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার প্রমাণ নয়, তাও মেনেছেন সকলে। শুধু মাত্র খবর জানার জন্যেও এই সার্চের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে বলে মত। সম্প্রতি মার্কিন গায়ক লিল ওয়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জাতি বিদ্বেষ নিয়ে আলোচনা করতে দেখা করেন, যার জেরে মানুষের মনে ট্রাম্পের সম্পর্কে কৌতূহল আরও বেড়ে যায়।
বাইডেনকে বারংবার কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প
করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ ও সেই সংক্রান্ত নীতি নিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনার মুখে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও নির্বাচনী প্রচার থেকে আমেরিকাবাসীর স্বার্থকে প্রাথমিক গুরুত্ব বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। এমনকী চিনের প্রতি নরম পন্থা মনোভাব নিয়ে জো বাইডেনকে কটাক্ষ করেন তিনি।
গোটা বিশ্বের নজর মার্কিন নির্বাচনের উপর
এদিকে আমেরিকার সমাজে এই রকম মেরুকরণ এর আগে কখনও হয়নি। সে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল এবং তাঁদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, যাঁরা এত দিন বিদেশনীতি এবং অর্থনৈতিক নীতির প্রশ্নে জাতীয় সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতেন, তাঁরাই এখন চরম ডানপন্থী বা চরম বামপন্থী অর্থাৎ সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বেরই নজর মার্কিন নির্বাচনের উপর।