তুরস্কের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেব, নিষেধাজ্ঞা জারির পর বললেন ট্রাম্প
ঐতিহাসিক ভাবে বন্ধু রাষ্ট্র হলেও সেদেশের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করল আমেরিকা। এই ঘোষণার পর দীর্ঘদিনের ন্যাটো সঙ্গী তুরস্কের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ঐতিহাসিক ভাবে বন্ধু রাষ্ট্র হলেও সেদেশের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করল আমেরিকা। এই ঘোষণার পর দীর্ঘদিনের ন্যাটো সঙ্গী তুরস্কের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, "যদি তুরস্ক তাদের ধ্বংসলীলা চালিয়ে যায় তবে আমি সেদেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করতে তৈরি।"
প্রসঙ্গত, সিরিয়াতে থাকা কুর্দিশদের উপর ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে তুরস্ক। পাশাপাশি আইএস কট্টরপন্থীদের মুক্ত করছে তুরস্ক প্রশাসন। এই সব বিষয় থামাতে না পারায় ইতিমধ্যেই নিজের দেশেই চাপে রয়েছেন ট্রাম্প। গত রবিবার আমেরিকা সিরিয়া থেকে নিজেদের সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করে। এরপরই সিরিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায় তুরস্ক। এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরডোগানকে ফোন করে হামলা বন্ধের আর্জি জানান ট্রাম্প। তবে সেই আর্জিতে কাজ না হওয়ায় কড়া পদক্ষেপের পথেই হাটলেন ট্রাম্প।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সেনা অভিযানের জেরে দেশটির তিনজন মন্ত্রী এবং কয়েকজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকায় তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে তুরস্কের সঙ্গে চলতে থাকা ১০০ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক চুক্তির আলোচনাও বাতিলের কথা জানিয়েছে আমেরিকা।
তুর্কী আগ্রাসন দুশ্চিন্তায় রেখেছে রাষ্ট্রসংঘকেও। প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষ এই মুহূর্তে সিরিয়ায় ঘর ছাড়া। তেল আবেদ ও রাস অল ইন -এর মতো জায়গায় রবিবার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ ঘর ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কার্যত সিরিয়া জুড়ে এই মুহূর্তে শ্মশানের স্তব্ধতা মাথা চাড়া দিয়েছে।