কর্মক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মার্কিনিদের! বড় ধাক্কা প্রবাসী ভারতীয়দের, আরও কঠোর হল এইচ১ ভিসা আবেদন
করোনা ধাক্কায় বেহাল অবস্থা মার্কিন অর্থনীতির। গত কয়েকমাসে হু হু করে বেড়েছে বেকারত্ব। সেই সঙ্গে লাগামহীন জিডিপি সঙ্কোচনেরও সাক্ষী থেকে গোটা মার্কিন মুলুক। এদিকে চলতি বছরের শেষ ভাগে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আর্থিক সঙ্কট, বেকারত্ব সহ একাধিক ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনকে বিঁধেছে বিরোধীরা। এমতাবস্থায় বেকারত্ব ঘোঁচাকে এইচ১বি ভিসা নিয়ে ফের বড়সড় পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল ট্রাম্প প্রশাসনকে।

নয়া নির্দেশিকা জারি
মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে ইমিগ্রেশন ভিসা আবেদনের বেশ কিছু নিয়মাবলী আর কঠোর হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার বড়সড় প্রভাব পড়তে চলছে আমেরিকায় কর্মরত প্রবাসী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের উপর। ট্রাম্পের মতে এই নয়া নীতির ফলে দেশীয় বাজারে কাজ পেতে অনেকটাই সুবিধা হবে মার্কিনিদের।

প্রতিবছর নতুন ভিসার জন্য আবেদন করেন প্রায় ৮৫ হাজারের বেশি প্রবাসীরা
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের তরফেই এদিন এইচ১বি ভিসার জন্য নতুন নিয়মাবলীর কথা জানানো হয়। এদিকে এই ভিসা বলেই প্রত্যেক বছর মার্কিন মুলুকে কাজের খোঁজে আসেন প্রায় ৮৫ হাজারেরও বেশি প্রবাসীরা। যার মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয়। বর্তমানে নতুন নিয়মবলে তার এক তৃতীয়াংশই কাজ হারাবেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এইচ১ ভিসাধারীর সংখ্যা কোন কোন ক্ষেত্রে সর্বাধিক?
এদিকে প্রতিবছর ভারত ও চিন থেকেই প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ প্রোগ্রামার, হিসাবরক্ষক, স্থপতি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক হিসাবে কাজে যোগ দেন। প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি ভিসার মেয়াদ তিন বছর থাকলেও ওই নির্দিষ্ট সময়ের পর ফের ভিসাধারীদের পুনরায় আবেদন করতে হয় সময়সীমা বাড়ানোর জন্য। সূত্রের খবর, বর্তমানে আমেরিকায় প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি ভারত ও চিনের এইচ১ ভিসাধারী রয়েছেন।

গত জুলাইয়ে সাময়িক স্থগিতাদেশ
এদিকে এর আগে গত জুলাইয়ে ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত এইচ১ ভিসায় সাময়িক ভাবে স্থগিতাদেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এইচ ১ বি-র পাশাপাশি নতুন করে এইচ ২ বি, এল ১ এবং জে ১ -সহ ভিসা না দেওয়ার বিলে সইও করেন ট্রাম্প। এবার সেই পথেই পাকাপাকিভাবে সিলমোহর দিতে চাইছে সরকার। এই প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত আমেরিকার ভরপ্রাপ্ত হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি চাদ ওল্ফ এক বিবৃতিতে বলেন, "আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে অর্থনৈতিক সুরক্ষা দেশীয় যুবক যুবতীতদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই দেশীয় সংস্থায় কাজের ক্ষেত্রেও তাদেরই অগ্রাধিকার প্রয়োজন।

মার্কিন যুবক-যুবতীদের বঞ্চনা ঠেকাতেই নয়া সিদ্ধান্ত
একইসাথে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ভারপ্রাপ্ত উপসচিব কেন কুকিনেল্লিও যথেষ্ট উদ্বেগের কথা শোনান। উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় শ্রম দফতরের উপ-সচিব প্যাট্রিক পিজেলাকেও। স্বল্প বেতনে দক্ষ কর্মচারী দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে অনেক সময়ই একাধিক মার্কিন সংস্থা প্রবাসী কর্মীদের খোঁজ করে। এর জন্য তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রেই সবথেকে বেশি বঞ্চিত হতে দেখা যায় মার্কিনিদের। এই নয়া ব্যবস্থার ফলে দেশীয় যুবক-যুবতীতদের কর্মক্ষেত্রে বঞ্চনার পরিমাণ অনেকটাই কমবে মতে মত হোমল্যান্ড সিকিউরিটি শ্রম দফতরের এই দুই আধিকারিকেরই।

পুরোপুরি সুস্থ হাওয়ার আগেই 'মুক্তি’! প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট নিয়ে ট্রাম্পকে একহাত বাইডেনের