চলন্ত বিমানে মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব পান করে মৃত্যুর হাত থেকে বৃদ্ধকে বাঁচালেন চিকিৎসক
চলন্ত বিমানে ৩৭ মিনিট ধরে মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব বের এক ব্যক্তিকে প্রাণে বাঁচালেন চিকিত্সক
চীন সাউদার্ন এয়ারওয়েজের একটি চলন্ত বিমানে এক বৃদ্ধের মূত্রাশয় থেকে ৩৭ মিনিট ধরে প্রস্রাব বার করে তাকে প্রাণে বাঁচালেন। জরুরি অবস্থায় ওই চিকিত্সকের ভূমিকায় ইতিমধ্যেই সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে।
যাত্রীবাহী ওই বিমানটি চিনের গুয়াংজু থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল বলে জানা যাচ্ছে। বিমানটি যখন তার গন্তব্য থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা দূরে ছিল তখন হঠাত্ই বয়স্ক ব্যক্তিটি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। বিমান কর্মীরা তৎক্ষণাৎ তার চিকিৎসার বব্যস্থা করেন। ঠাণ্ডার মধ্যেও ঘামতে দেখা যায় ওই অশীতিপর বৃদ্ধকে। কোনও ভাবেই তিনি প্রস্রাব করতে পারছেন না বলে এরপর বিমান কর্মীদের জানান তিনি।
এরপর বিমান কর্মীরা তার জন্য একটি অস্থায়ী বিছানার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি ক্রমেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় যাত্রীদের কাছে জরুরি ভিত্তিক সহায়তার আর্জি জানান বিমান কর্মীরা। ভাগ্যক্রমে ওই বিমানেই অসুস্থ বৃদ্ধের সহযাত্রী ছিলেন ভাস্কুলার সার্জেন ডা: ঝাং।
এরপর তিনি দেখেন দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করতে পারায় প্রায় এক লিটারের কাছাকাছি প্রস্রাব ভরে গেছে বৃদ্ধের মূত্রাশয়টি। মূত্রাশয় ফেটে যার জেরে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে জানান তিনি। এরপর দ্রুত তিনি পোর্টেবল অক্সিজেন মাস্ক, একটি সিরিঞ্জ, দুটি দুধের বোতল এবং উড়ো জাহাজে মজুত থাকা আনুষঙ্গিক সামগ্রী নিয়ে জরুরি ভিত্তিক অপারেশন শুরু করেন তিনি। এরপর ঝাং এর পরে প্রস্রাব বের করার জন্য সিরিঞ্জ ব্যবহার চেষ্টা করলেও তা বিফলে যায়। রোগীর মূত্রাশয়টি এতটাই স্ফীত হয়ে গিয়েছিল যে তার কোনও উপায়ই কার্যকর হয়নি।
সমস্ত চেষ্টা বিফলে যাওয়ার পর অবশেষে তিনি মুখের সাহায্যেই স্তন্যপানের মতো করে প্রস্রাব বের করার সিদ্ধান্ত নেন। তার মতে সেই সময় এটিই ছিল সেই সময় প্রস্রাবের গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবথেকে উপযুক্ত উপায়। এরপরে প্রায় ৩৭ মিনিট ধরে তিনি প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিলিটার প্রস্রাব চুষে ফেলেন। জীবন রক্ষা সম্ভব হয় ওই বৃদ্ধ বিমান যাত্রীর। পর পরে বিমানটি অবতরণের পর তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।