'চিনের কনস্যুলেট গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া', নথি পোড়ানো থেকে রহস্যময় বিজ্ঞানীকে নিয়ে বিস্ফোরক আমেরিকা
'চিনের কনস্যুলেট গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া ছিল ', নথি পোড়ানো থেকে রহস্যময় বিজ্ঞানীকে নিয়ে বিস্ফোরক পম্পেও
'অবিশ্বাস' আর 'পরখ করে নেওয়া' এই দুই নীতির ভিত্তিতে এবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের সমস্ত বিষয়কে খতিয়ে দেখবে। বিশেষত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বুকে চিনের বাণিজ্য নিয়ে সমস্তটাই সন্দেহের আতস কাঁচে দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বিস্ফোরক পম্পেও
এদিন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, চিনকে এবার থেকে অবিশ্বাস করেই চলবে আমেরিকা। তাছাড়াও আমেরিকা চিনের সমস্ত কিছুই পরখ করে দেখে তারপর বিশ্বাস করবে এমন নীতি গ্রহণ করতে চলেছে।
চিনের গুপ্তচরবৃত্তি
আমেরিকার গোয়েন্দা সূত্রের খবর, হিউস্টনে চিনা কনস্যুলেট বন্ধের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় কারণ, কনস্যুলেটে আগুনে বহু নথি পোড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, মার্কিন করোনা ভ্যাকসিনের গবেষণা নিয়েও চিন গুপ্তচর বৃত্তি করে খবর হাতানোর চেষ্টা করেছে। এই মর্মে ২ চিনা হ্যাকারকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পম্পেও অভিযোগ
হিউস্টনে চিনের কনস্যুলেট 'ইন্টেলেকটচুয়াল প্রপার্টি' চুরি করার আখড়া হয়ে উঠছিল। সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্রমাগত গুপ্তচরবৃত্তি করা হত। এমনই সমস্ত বিস্ফোরক অভিযোগ মাইক পম্পেও এনেছেন চিনের বিরুদ্ধে।
কেন চিনের বিজ্ঞানীকে খুঁজছে আমেরিকা?
করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি গবেষণার ঘটনায় চিনের এক বিজ্ঞানীকে আমেরিকা খুঁজে চলেছে। মনে করা হচ্ছে চিনের স্যান ফ্রান্সিসকো কনস্যুলেটে সেই বিজ্ঞানী গা ঢাকা দিয়েছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে আপাতভাবে ভিসা কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তবে চিনের বিজ্ঞনী তাং জুয়ান আপাতত মার্কিন নজরে।
লালফৌজ ও মার্কিন ভিসা কেলেঙ্কারি
আমেরিকার মতো কঠোর প্রতিরক্ষা সম্পন্ন দেশের ২৫ টি শহরে চিনের এমন কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তি রয়েছে, যাঁদের ঘিরে উদ্বেগ জন্মেছে ট্রাম্প প্রশাসনে। এদের বিরুদ্ধে ভিসা কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। তার চেয়েও বড় বিষয় এদের সঙ্গে চিনা সেনার যোগাযোগ সন্দেহজনকভাবে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মাইক পম্পেওর বার্তা আরও প্রাসঙ্গিক হচ্ছে।
লাদাখ নিয়ে আজ হাইভোল্টেজ বৈঠক! চিনকে কূটনৈতিকভাবে একহাত নিতে প্রস্তুত ভারত