সুর বদল চিনের, জয়শঙ্কর-ওয়াংয়ের 'ফাইব পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা' মেনে ফের শান্তির বার্তা বেজিংয়ের
চিন-ভারত সীমান্তে তপ্ত আবহেই মস্কোতে মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি শান্ত করা এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সরানোর বিষয়েই আলোচনা হয়। তবে তারপরও চিন লাদাখ ইস্যুতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেনি। সেই রেশ টেনেই মঙ্গলবারও মুখ খোলে বেজিং। তবে এবার ফের পরিস্থিতি শান্ত করার পথে হাঁটতে চাইছে চিন।
ভারত-চিন বৈঠক
এদিন ভারত ও চিনের উচ্চপদস্থ কূটনীতিকরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন। ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশনের অধীনেই সীমান্ত সমস্যা নিয়ে এই আলোচনা হচ্ছে দিল্লি এবং বেজিংয়ের মধ্যে। সেই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়েই এদিন মুখ খোলে বেজিং।
বেজিংয়ের সুর বদল
এদিন লাদাখ নিয়ে তাদের আগের বক্তব্যকে খণ্ডণ না করলেও শান্তির বার্তা দিতে চিন বলল, দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যেই পাঁচ দফা সমাধান সূত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, সেই পথেই দিল্লি এবং বেজিংয়ের কূটনীতিবিদরা আলোচনা চালাচ্ছেন বর্তমানে। এর আগে দুই দেশই জানিয়েছিল, লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ৫ বিষয়ে একমত তারা।
শান্তি ফেরাতে জয়শঙ্কর-ওয়াং বৈঠক
রাশিয়া সাংহাই কো-অপারেশন সামিটে উপস্থিত হয়ে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী যখন মুখোমুখি হন, তখন দুই দেশই লাদাখে শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নিজেদের দায়বদ্ধতা স্বীকার করেছিলেন। দু'দেশের মধ্যে এই বৈঠকে পাঁচ দফা সূত্র নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। যাতে উত্তেজনা হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে চিনের তরফে
ভারতের দাবি, ১৯৯৩-৯৬ সালে হওয়া চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে চিনের তরফে। তবে এরই মধ্যে দুই দেশ মেনে নেয় যে উভয় দেশের নেতাদের উচিৎ আলোচনায় বসতে হবে এবং মতভেদকে বিবাদে পরিণত করা উচিৎ হবে না। তাছাড়া আরও মেনে নেওয়া হয়, সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি উভয় দেশের পক্ষে ভালো নয়। এক্ষেত্রে দুই দেশের বাহিনী নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালিয়ে যাবে এবং সীমান্তের পরিস্থিতি সংশোধন করার জন্য চেষ্টা হবে।
ফাইব পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা
উভয় দেশই ভারত ও চিনের সীমান্ত নিয়ে হওয়া চুক্তি অনুসরণ করবে এবং শান্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। এমনটাই মেনে নিয়েছিল দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। পাশাপাশি সীমান্ত বিরোধ নিয়ে বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যেও আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে লাদাখ নিয়ে বেজিংয়ের আলটপকা মন্তব্যের জেরে দুই দেশের মধ্যে ফের উত্তেজনা সৃষ্টির আবহাওয়া তৈরি হয়।
ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি বড় বালাই! বাবরি মামলা রায়দানের পর চুপ মোদী, মুখ খুললেন না মমতাও