জানতেনই না তিনি গর্ভবতী, বিয়ের ৭২ ঘন্টা আগে সন্তানের জন্ম দিলেন ভদ্রমহিলা
জানতেই না তিনি গর্ভবতী, বিয়ের ৭২ ঘন্টা আগে সন্তানের জন্ম দিলেন ভদ্রমহিলা
মেয়েদের প্রেগন্যান্সি এমন একটি বিষয় যে তা কোনভাবেই নজর এড়ানো সম্ভব নয়! কিন্তু সত্যিই নয় কি? এই ধারণাই পাল্টে দেবে এরকম একটি ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে৷ এক ভদ্রমহিলা প্রায় সাত মাস গর্ভবতী থাকার পরও বুঝতে পারেননি তিনি সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন৷ এমনকি বারবার চেক করা সত্ত্বেও তাঁর প্রেগন্যান্সির রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে! শেষমেশ বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়ার ৭২ ঘন্টা আগে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই ভদ্রমহিলা!
সম্প্রতি স্নিপেট টিএলসি -র ইউটিউবে এরকমই একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয়েছে৷ যেখানে লিসা নামের এক ব্রিটিশ ভদ্রমহিলা তার আশ্চর্য গর্ভাবস্থা এবং মা হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন৷ ইয়ুটিউবে লিসা বলেছেন, গর্ভাবস্থার সঙ্গে সাধারণত বমি বমি ভাব বা বুকের ব্যথা বা এরকমও কোনও সাধারণ লক্ষণ প্রথম থেকেই ছিল না। খাবারের অনিয়মজনিত কারণে সামান্য ওজন বৃদ্ধি হয়েছিল তাঁর। তবে তিনি পরপর দুটি পিরিয়ড মিস করেছিলেন বলে জানিয়েছেন লিসা। এরপর একটি প্রেগন্যান্সি টেস্টও করান তিনি যার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে৷ ৪০ এর কোঠায় পৌঁছে যাওয়া নিসা তাই ধরে নিয়েছেন তিনি মেনোপজের সম্মুখীন হচ্ছেন৷
নিসার
সঙ্গে
একই
রেস্তোরাঁয়
কাজ
কীতেন
জেসন,
তাঁদের
বিয়ের
সব
প্রস্তুতি
শেষ
হয়েছিল।
ব্রিটিশ
ভদ্রমহিলা
তাঁর
সঙ্গী
জেসনকে
বিয়ে
করার
মাত্র
তিন
দিন
আগে,
হঠাৎ
বাথরুমে
গিয়ে
বুঝতে
পারেন
তাঁর
রক্ত
বেরোচ্ছে৷
লিসা
জানিয়েছেন,
আমি
আমার
পায়ের
মাঝে
গরম
তরল
কিছু
অনুভব
করছি
এবং
বাথরুমে
চেক
করে
দেখেছি
আমার
ব্লিডিং
হচ্ছে৷
তখন
আমার
মনে
হয়েছিল
'এটা
অনেক,
এটা
স্বাভাবিক
নয়।"
এরপরই জেসন তার ভবিষ্যত স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন যে লিসার গর্ভপাত হয়েছে। যদিও লিসা বারবার জোর দিয়ে যাচ্ছিলেন যে তিনি গর্ভবতী নন। এরপরই চিকিৎসকারস তাঁর শরীরে নবজাতকের হার্টবিট পরীক্ষা করেন এবং সেখানেই বোঝা যায় লিসা গর্ভবতী।
লিসা জানিয়েছেন, বাচ্চাটি কি অবস্থায় রয়েছে তা দেখার জন্য চিকিৎসকরা যন্ত্রের সাহায্য নিয়েছিলেন তাঁদের অনুমান ছিল বাচ্চাটির বয়স বড়জোর ২৮ থেকে ৩০ সপ্তাহ। তবে লিসার প্লাসেন্টার জরায়ু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে প্রিম্যাচিওর অবস্থায় অপারেশন করে শিশুটিকে বার করতে হয়। এবং কয়েকদিন আইসিইউতেও রাখতে হয় বাচ্চাটির ফুসফুস সম্পূর্ণ গঠিত হওয়ার জন্য এখন বাচ্চা এবং মা দু'জনেই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷