নির্ধারিত সময়ের আগেই চালু হবে! কবে চালু হবে ঢাকা মেট্রো, কী বলছেন মন্ত্রী
ঢাকার মেট্রো প্রকল্পের পুরো কাজ ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকার মেট্রো প্রকল্পের পুরো কাজ ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গুলশান হামলার ঘটনায় মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের ৫ ও ৬ নম্বর প্যাকেজের জন্য চারটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কাজ ছয় মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল হোলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির জন্য। তবে নির্মাণ কোম্পানি তাতে পিছিয়ে যায়নি। ছয় মাস কাভার করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ২০১৯-এর মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালের মধ্যে পুরো মেট্রোরেলের কাজ উত্তরা থার্ড ফেজ থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত শেষ করে ফেলা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মন্ত্রী। কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু জাপান বাংলাদেশকে কোয়ালিটি কাজ দিচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
গুলশান হামলায় মারা গিয়েছিলেন জাপানের সাত নাগরিক। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ওই সাতজনের মধ্যে ছয়জনই মেট্রোরেল প্রকল্পের সমীক্ষাকাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ আটটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। প্যাকেজ ৫ ও ৬-এর আওতায় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেনলাইন ও সাতটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
প্যাকেজ-৫-এর আওতায় আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার রুট হবে। এই রুটে তিনটি স্টেশন থাকবে।
প্যাকেজ-৬-এর আওতায় কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার রুট হবে। স্টেশন থাকবে চারটি।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাপানের সংস্থা জাইকা। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা জোগাবে সরকার।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) নামে একটি কোম্পানি গঠন করেছে সরকার।
মেট্রোরেলের প্রস্তাবিত ১৬টি স্টেশন হচ্ছে উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজিপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও হোটেল, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা।
প্রতি ৪ মিনিট পরপর ১ হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল। ঘণ্টায় চলাচল করবে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী। প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ যেতে ৪০ মিনিটের কম সময় লাগবে ।