'মুসলিম বাদে বাকীদের মারতে এসেছি', বন্দিদের জানায় জঙ্গিরা
ঢাকা, ৩ জুলাই : গুলশনে স্প্যানিশ রেস্তরাঁয় জঙ্গি হামলা ও পরে ১২ ঘণ্টার গুলির লড়াই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। প্রতিবেশী হওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ভারতেও। [একঝলকে ঢাকা জঙ্গি হানা: আততায়ীদের মুখে শোনা গেল 'আল্লাহু আকবর']
হামলায় দুই পুলিশ আধিকারিক সহ মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে মোট ৬ জঙ্গিরও। জানা গিয়েছে, এই জঙ্গিরা রেস্তরাঁয় ঢুকে প্রথমে জানিয়ে দেয়, মুসলমানদের গায়ে একটা আঁচড়ও পড়বে না। অমুসলিমদের মারতেই এখানে এসেছে তারা।
রেস্তরাঁয় হামলা চালানো জঙ্গিরা সকলেই বাংলাদেশি ছিল। মোট ৭জন জঙ্গি রেস্তরাঁয় ঢুকে পণবন্দিদের মারতে শুরু করে। তারা বাংলাতেই কথা বলেছে বলে জানা গিয়েছে। একজন জঙ্গিদের জীবিত ধরতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশি পুলিশ।
গোটা ঘটনার দায় জঙ্গি সংগঠন আইআইএস স্বীকার করলেও বাংলাদেশের শেখ হাসিনার প্রশাসন এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছে না। তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে, হামলাকারী জঙ্গিদের সকলের বয়স ২০-২৮ বছরের মধ্যে ছিল। এবং প্রত্যেকের নামেই পুলিশের খাতায় অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে।
রেস্তরাঁয় ঢুকে জঙ্গিরা প্রত্যেকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আগে বাংলা বলতে পারে কিনা তা যাচাই করেছে। পরে ধর্ম যাচাই করা হয়। মুসলমানদের ধর্মের সারবাক্য বলতে না পারলেই গলা কেটে পণবন্দিদের খুন করা হয়েছে।
রেস্তরাঁর কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন অনেক মুসলমান ছিলেন যারা ভয়ে কিছু বলতে পারেননি। অথবা তাদের ধর্মবাক্য পড়ার অভ্যাস নেই। তাদের ধরে গলা কেটে খুন করেছে জঙ্গিরা।