কাসেম সোলেমানির হত্যায় এখনও ফুঁসছে ইরান, ফের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিধ্বংসী রকেট হানা
কাসেম সোলেমানির হত্যায় এখনও ফুঁসছে ইরান, ফের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিধ্বংসী রকেট হানা
কাসেম
সোলেমানি
হত্যার
বদলা
নিতে
পর
পর
হামলা
করেই
চলেছে
ইরান।
গত
জানুয়ারির
পর
এবার
ফের
বাগদাদে
রকেট
হামলা
চালাল
তেহরান।
ইরাকের
রাজধানী
বাগদাদের
গ্রিন
জোনের
কাছে
থাকা
মার্কিন
দূতাবাসের
কাছে
দুটি
ব্যালিস্টিক
ক্ষেপণাস্ত্র
হামলা
চালানো
হয়েছে
বলে
জানা
যাচ্ছে।
এই
ঘটনায়
কোনও
হতাহতের
খবর
পাওয়া
যায়নি।
এদিকে বাগদাদের গ্রিন জোনেই মার্কিন দূতাবাস-সহ পাশ্চাত্যের অনেক দেশেরই দূতাবাস ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র রয়েছে। আর তাই বরাবরই এই এলাকাকেই টার্গেট করে আসথে ইরান। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। এদিকে সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাধিমি। এবার তিনি ঘরে ফিরতেই রকেট হামলাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই ইরাকে মার্কিনির বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটছে।আর এই সবের পিছনেই রয়েছে ইরান পন্থী একাধিক সংগঠনের হাত। এমতাবস্থায় বৃহঃষ্পতিবারের হামলা যে নতুন করে দুই দেশের মধ্যে চাপানৌতর তৈরি করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে কয়েক মাস আগেই ইরাকের সেনা ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। মার্কিন সেনা ছাড়াও ওই ঘাঁটিতে একাধিক দেশের যৌথ সেনাবাহিনী রয়েছে।
অন্যদিকে চলতি বছরের শুরুতেই বাগদাদ বিমাবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি। তার পর থেকেই কার্যত রাগে ফুঁসছে ইরান। এমনকী এই ঘটনার পর থেকে ইরান সমর্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ইরাক থেকে মার্কিন জোটের সমস্ত বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানায়। এমনকী দেশে ক্রমাণ্বয়ে অস্থিরতা বাড়তে থাকায় ইতিমধ্যেই আমেরিকা সফরে গিয়ে জো বাইডেনের কাছে সেই প্রস্তাবও রেখেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাধিমি।