ট্রাম্পকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছেন ডেমোক্র্যাটরা, নাটকীয় মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে আমেরিকা!
আর কয়েকদিনের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন জো বাইডেন। তার আগে আমেরিকাজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। সংসদীয় ভবনে হামলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এরই মধ্যে মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী ব্যবহার করে ট্রাম্পকে সরাতে চাইছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে এর জন্যে পদক্ষেপ নিতে হবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে। তবে এই পদক্ষেপ যদি মাইক পেন্স না নেন, তাহলে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরুর হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এই নিয়ে দু'বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে হাউজে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২৫ নম্বর সংশোধনী প্রয়োগ
প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের মেয়াদ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চেয়ার থেকে সরানো হতে পারে ট্রাম্পকে। ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৫ নম্বর সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মরিয়া পেলোসি
ট্রাম্পের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই তাঁকে হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখতে চাইছেন পেলোসি। পেলোসি এদিন বলেন, ট্রাম্পকে দ্রুত ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট আহ্বান জানান, যাতে ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তাঁর হুঁশিয়ারি, ভাইস প্রেসিডেন্ট যদি সেই পথে না হাঁটেন, তবে ট্রাম্পকে আরও একবার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হবে। তাঁর বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যা করা দরকার তার সবই করা।

ট্রাম্পের কয়েকশো সমর্থক মার্কিন ক্যাপিটলে হামলা চালায়
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কয়েকশো সমর্থক মার্কিন ক্যাপিটলে হামলা চালায়৷ এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ বাধে৷ পুলিশ গুলিতে মৃত্যু হয় এক মহিলা সহ তিন ব্যক্তির৷ পাশাপাশি এক পুলিশকর্মীরও মৃত্যু হয়৷ এরপরই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় টুইটার৷

ট্রাম্পকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না
তবে ট্রাম্পকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এই ঘটনার পর নিজেস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গড়ার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের৷ 'উষ্কানি মূলক মন্তব্যের জেরে আগামীতেও হিংসা ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে' এই মর্মে গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজেস্ব অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে টুইটার৷ তারপরই নিজেস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷