সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস ভারতের প্রস্তাব
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস ভারতের প্রস্তাব
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সমস্ত দেশকে আহ্বান জানিয়েছে। দিল্লির সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নেওয়ার প্রস্তাব রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবিরোধী কাউন্সিলে গৃহীত হয়েছে। ভারত জানায়, যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রস্তাব ভারতের
রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসবিরোধী কাউন্সিল বা সিটিসিতে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, যে কোনও ধরনের সন্ত্রাস বিশ্বের জন্য বাধার সৃষ্টি করছে। সন্ত্রাসবাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। এই বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। সন্ত্রাসবাদীরা অনেক ক্ষেত্রে মানববিহীন বিমান ব্যবহার করছে। যা ক্রমই উদ্বেগের পারদ বাড়াচ্ছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, গত কয়েক দশক ধরে ভারত সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। সন্ত্রাস হামলায় ভারতে বহু মানুষ তাদের প্রিয়জন হারিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত যে কোনও ধরেনর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।
কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার ভারত
ভারতের তরফে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিটিসি বা কাউন্টার টেরোরিজম কমিটির বিশেষ বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। সেখানে ভারতের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনওভাবেই সন্ত্রাসের বিষয়ে সহনশীলতা দেখানো যাবে না। এই প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর ই তইবার মুম্বই হামালার মর্মান্তিক ছবি দেখানো হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তানের বাধা
একদিকে ইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তানের নাম বাদ পড়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় পাক ভিত্তিক জঙ্গিদের অন্তর্ভুক্ত করতে বাধা দিচ্ছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের আনা শূন্য সহনশীলতা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের তরফে প্রস্তাবে জানানো হয়েছে, সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিটি দেশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধান বাধা জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়
ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সব থেকে বড় ও প্রধান বাধা নিরাপদ আশ্রয়। ভারত রাষ্ট্রসংঘে জানানয়, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে প্রতিটি দেশকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যাতে আশ্রয়গুলো চিহ্নিত করা যায় ও সেগুলো ধ্বংস করা সম্ভব হয়। সন্ত্রাসবাদে সাহায্য করা যে কোনও ব্যক্তিকে একই আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তবেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হবে বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে। সিটিসির তরফে সন্ত্রাসী কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেট ব্যবহার করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মতো বিষয়ের সাহায্যে সন্ত্রাসবাদীরা ক্রমেই আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন। অনেকক্ষেত্রে তারা এই ক্রাউড ফান্ডিংয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।
মানুষের কান্না শুনুন, গণতন্ত্র রক্ষায় বিচারব্যবস্থার কাছে আর্জি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের